সিলেট নগরের আরামবাগে অভিযান চালিয়ে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আল্লাহর দলের সদস্য সন্দেহে ৯ জনকে গ্রেফতার করেছে অ্যান্টি টেরোরিজম ইউনিট। এর মধ্যে সিলেটের চার জন ও সুনামগঞ্জ জেলার একজন রয়েছে। বুধবার (২৯ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ১০টার দিকে মহানগর পুলিশের শাহপরান থানাধীন আরামবাগের ১ নম্বর রোডের ১৭ নম্বর বাসার নিচ তলার একটি ফ্ল্যাটে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে এ অভিযান চালানো হয়। বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) দুপুর ১টার দিকে সিলেট মহানগর পুলিশের সদর দফতরে প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেন সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার পরিতোষ ঘোষ।
পুলিশের এই কর্মকর্তা দাবি করেন, গ্রেফতারকৃতরা নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আল্লাহর দলের সক্রিয় সদস্য। গ্রেফতার করার সময় তাদের কাছ থেকে নগদ টাকা, বই ও বিভিন্ন ধরনের দলিল উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা উগ্রবাদী মতাদর্শ প্রচার ও আতঙ্ক সৃষ্টির মাধ্যমে বিভিন্ন পরিকল্পনার বাস্তবায়নের প্রস্তুতি নিতে ওই বাসায় সমবেত হয়। এ ঘটনায় মহানগর পুলিশের শাহপরাণ থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে- বগুড়া জেলার বড়কুমিড়া গ্রামের মৃত আব্দুল মান্নান আকন্দের ছেলে মানিক আকন্দ ওরফে মেহেদী (৩২), নোয়াখালী জেলার কৃষ্ণপুর গ্রামের আবুল কালামের ছেলে জহির উদ্দিন বাবর (২০), সিলেটের জকিগঞ্জ জেলার মাননিক পুর গ্রামের মৃত মোকাদ্দেস আলীর ছেলে রাসেল আহম্মেদ (২৪), কুমিল্লা জেলার রাজমঙ্গলপুর গ্রামের আব্দুল আলীর ছেলে আবুল কালাম অঅজাদ ওরফে কালাম (২০), সিলেটের জকিগঞ্জ জেলার খাফনা ঈদগাহ বাজার গ্রামের মুক্তাদির মিয়ার ছেলে কামাল আহম্মেদ (২৫), সুনামগঞ্জ জেলার শাহপুর গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে তমি উদ্দিন সুমন (৩০), রাজশাহী জেলার চেওখালী গ্রামের কায়েম উদ্দিনের ছেলে আশরাফুল ইসলাম (২৯), সিলেটের জালালাবাদ থানাধীন হায়দরপুর গ্রামের আব্দুস সালামের ছেলে জুয়েল আহম্মেদ (২৪) এবং সিলেটের গোলাপগঞ্জের নলুয়া গ্রামের আলাউদ্দিনের ছেলে স্বপন আহম্মেদ (২১)।
অ্যান্টি টেরোরিজম ইউনিটের পুলিশ সুপার মাহিদুজ্জামান জানান, গ্রেফতারকৃতরা আল্লাহর দলের সক্রিয় সদস্য। তারা নাশকতা ঘটানোর জন্য ওই বাসায় গোপন বৈঠক, বিভিন্ন পরিকল্পনা, প্রশিক্ষণ ও প্রস্তুতি গ্রহণের জন্য একত্রিত হয়। তাদের সঙ্গে আর কারা রয়েছে সেবিষয়ে তাদের ঢাকায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।