তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, ইসরাইলি বাহিনী গাজায় হাসপাতালে হামলা চালিয়েছে। আর এখানে বিএনপি-জামায়াত হাসপাতালে হামলা চালিয়েছে।
বাংলাদেশের ইতিহাসে এ রকম হাসপাতালে হামলা কোন রাজনৈতিক দল করেছে বলে আমার জানা নেই।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ইসরাইলি বাহিনী গাজায় হামলা চালিয়ে ৮০০ মানুষকে হত্যা করার পরও একটি শব্দ উচ্চারণ করেনি, এই বর্বরতার বিরুদ্ধে একটি শব্দ উচ্চারণ করেনি বিএনপি এবং জামায়াত।
বরং ইসরাইলে বাহিনীর অনুকরণে তারা গতকাল হাসপাতালে হামলা চালিয়েছে এবং তারা পুলিশের উপর হামলা চালিয়ে। হাসপাতালে হামলা চালিয়ে ১৯টি গাড়ি জ্বালিয়ে দিয়েছে, ভাঙচুর করেছে অ্যাম্বুলেন্সসহ।
নাইট আঙ্গেল মোড়সহ বিভিন্ন জায়গায় পুলিশের উপর হামলা চালিয়ে একজন পুলিশকে পিটিয়ে পরে চাপাতি দিয়ে কোপ দিয়ে হত্যা করা হয়। একশোর বেশি পুলিশ সদস্য আহত, দুজনের অবস্থা গুরুতর এবং আনসারের ২৫ জন সদস্য আহত।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে গেছি। রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালেও গেছি। সেখানে বহু পুলিশ যন্ত্রণায় ছটফট করছে। বেশিরভাগ পুলিশের মাথায় তারা আঘাত করেছে, যাতে মৃত্যু হয়। যে পুলিশ সদস্যকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে আপনারা সেই জায়গায় দেখেননি, আমি লাশ দেখেছি। পিছনে কোপ দিয়ে নামিয়ে ফেলা হয়েছে, মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য। এগুলো কোন রাজনৈতিক দলের কাজ হতে পারে না। গুলো সন্ত্রাসী দলের কাজ। বিএনপির জামায়াত যে আবার ২০১৩, ২০১৪, ২০১৫ সালের অবস্থায় ফিরে এসেছে গতকাল আপনারা দেখেছেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে ইতোপূর্বে কখনো প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা হয়নি। বাংলাদেশের ৫২ বছরের ইতিহাসে সরকারি দল, বিরোধী দলসহ হাজার হাজার মিছিল সেই বাসভবনের সামনে দিয়ে গিয়েছে, কাকরাইলার মোড়ে অনেক সময় অনেক গণ্ডগোল হয়েছে, কিন্তু কখনো প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা হয়নি। তবে ইতিপূর্বে বিএনপির আইনজীবীরা প্রধান বিচারপতির কার্যালয়ের দরজায়, প্রধান বিচারপতির খাস খামারার দরজায় লাথি মেরেছে। অর্থাৎ তারা বিচার বিভাগকে তোয়াক্কা করে না। গতকালের ঘটনায় সেটি প্রমাণ হচ্ছে।
গতকালকের চিত্র আপনার টেলিভিশনে দেখিয়েছেন উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, আবার অনেকে দেখেছেন। এটি মনে হচ্ছিল যে কোন জায়গায় যুদ্ধ হচ্ছে। পাকিস্তানি সেনাবাহিনী রাজারবাগে হামলা চালিয়েছিল আপনাদের মনে আছে, গতকাল বিএনপি জামায়াত রাজারবাগে হামলা চালিয়েছে, রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতাল হামলা চালিয়েছে।