ঝালকাঠি: নলছিটি উপজেলার সুবিদপুর ইউনিয়নের গোপালপুর কমিউনিটি ক্লিনিকের স্বাস্থ্য সহকারী সুরভী খানম কর্মস্থলে না এসেই নিয়মিত বেতন তুলছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, নলছিটি উপজেলায় ২৯টি কমিউনিটি ক্লিনিক চালু রয়েছে।
প্রতিটি ক্লিনিকে একজন সিএইচসিপি, একজন পরিবার পরিকল্পনাকর্মী এবং একজন স্বাস্থ্য সহকারী আছেন। নিয়ম অনুযায়ী সিএইচসিপি কর্মীরা সরকারি বন্ধের দিন ছাড়া বাকি দিনে দায়িত্ব পালন করবেন।
পরিবার পরিকল্পনা কর্মী ও স্বাস্থ্য সহকারীদের সপ্তাহে দুই দিন ক্লিনিকে এবং অন্য দিনে মাঠে কাজ করার নির্দেশনা রয়েছে। অথচ স্বাস্থ্য সহকারী সুরভী খানম মাসের প্রথম অথবা শেষে একদিন ক্লিনিকে গিয়ে হাজিরা খাতায় পুরো মাসের সই করেন।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, গোপালপুর কমিউনিটি ক্লিনিকের স্বাস্থ্য সহকারী সুরভী খানম বরিশালে বসবাস করেন। তাই তিনি মাসে দু-একদিন নিজ প্রয়োজনে ক্লিনিকে আসেন।
তবে সেখান থেকেই উপজেলা স্বাস্থ্য পরিদর্শক মাধবী রানীর যোগসাজশে প্রতি মাসের বেতন তুলে নিচ্ছেন তিনি।
স্থানীয়রা বলছেন, ক্লিনিকে এসে আমরা নিয়মিত সেবা পাচ্ছি না। এই ক্লিনিকে সিএইচসিপি হাফসা আক্তার ও স্বাস্থ্য সহকারী সুরভী খানম দায়িত্বে রয়েছেন। এরমধ্যে সুরভী একেবারেই ক্লিনিকে আসেন না। কিন্তু ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। তাদের ম্যানেজ করেই বেতন নিচ্ছেন তিনি।
এ বিষয়ে স্বাস্থ্য সহকারী সুরভী খানম বলেন, এই মাসে আমাদের ক্লিনিকে কোনো কাজ নাই। আমাদের মাঠে কাজ থাকে সেখানে থাকি। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে।
নলছিটি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শিউলি পারভীন বলেন, ওখানের যে সিএইচসিপি রয়েছে সে আমাকে কিছু জানায়নি। আমি তাকে জিজ্ঞেস করবো কি কারণে ক্লিনিকে যায় না।
ঝালকাঠির সিভিল সার্জন ডা. এইচএম জহিরুল ইসলাম বলেন, কর্মস্থলে না গিয়ে বেতন নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। বিষয়টি আমি খোঁজ নিচ্ছি।