কলেজ থেকে বাড়ি ফেরার পথে মৌলভীবাজার সরকারি মহিলা কলেজের এক ছাত্রী তার বান্ধবীসহ সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) বিকালে মৌলভীবাজার শহরের ওয়াপদা (স্টেডিয়াম) এলাকার পেছনে নির্জন স্থানে এই ঘটনা ঘটে।
ধর্ষণের শিকার হওয়া দুই জনই মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। অভিযোগের ভিত্তিতে দুই ধর্ষককে আটক করেছে পুলিশ।
বিষয়টি রাত ৯টার দিকে জানাজানি হয়। শহরের মধ্যে এমন নৃশংস ঘটনায় আতঙ্ক ও ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। সচেতন মহল ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন।
মৌলভীবাজার মডেল থানার ওসি মো. আলমঙ্গীর হোসেন মামলার বরাত দিয়ে জানান, মঙ্গলবার বিকালে কলেজ থেকে বাড়ি ফেরার পথে মৌলভীবাজার প্রেসক্লাবের সামনে এসে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় ওঠেন কলেজ ছাত্রী (১৮) ও তার বান্ধবী (২০)। কিছুক্ষণ পর যাত্রী বেশে চারটি ছেলে ওই অটোরিকশায় উঠে। তারা চালককে সিএনজি ঘুরিয়ে নিতে নির্দেশ দেয়। চালক তাদের কথামতো গাড়ি নিয়ে চলে। ওই চারজন গাড়ির পর্দা টেনে দুই বান্ধবীর হাত ও মুখ বেঁধে ফেলে এবং স্টেডিয়াম এলাকার পেছনে একটি ঝোঁপে নিয়ে যায়। সেখানে তাদের মারধর করে মোবাইল, বই ও টাকা ছিনিয়ে নিয়ে তাদের ধর্ষণ করে। পরে দুই ছাত্রী কৌশলে সেখান থেকে বেরিয়ে এসে পুলিশকে জানালে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
পুলিশ ভিকটিমদের আত্মীয়-স্বজনকে খবর দেন। পরে তারা এসে চিকিৎসার জন্য সদর হাসপাতালে ভিকটিমদের ভর্তি করেন। এ বিষয়ে ধর্ষণের শিকার কলেজছাত্রী বাদী হয়ে পাঁচ জনকে অভিযুক্ত করে থানায় মামলা দায়ের করেন।
ওসি জানান, মৌলভীবাজার মডেল থানায় দায়ের করা মামলা নং-১২। তারিখ ১৪.০১.২০২০। পুলিশ অভিযান চালিয়ে মূল অভিযুক্ত আকাশ ও মুন্নাকে আটক করেছে। মুন্না সদর উপজেলার ১১নং মোস্তফাপুর ইউনিয়নের উত্তর জগন্নাথপুর গ্রামের ইসলাম মিয়ার ছেলে। অন্য আসামিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রাখার কথা জানিয়েছে পুলিশ।