রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরে পৃথক ঘটনায় দুই কিশোরীকে (১৩) ধর্ষণ ও অপহরণ মামলায় দুইজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) রাতে ওই দুই কিশোরীকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ওসিসিতে ভর্তি করা হয়।
কামরাঙ্গীরচর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাহমুদুল হাসান জানান, স্থানীয় একটি মাদ্রাসা পড়ুয়া কিশোরীর (১৩) সঙ্গে স্থানীয় তোফায়েল (২০) নামে এক যুবকের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এর জের ধরে গত ৪ জানুয়ারি তারা বাসা থেকে পালিয়ে যায়। এরপর মেয়ের পরিবার অপহরণ মামলা করলে মঙ্গলবার কিশোরগঞ্জ থেকে ওই কিশোরীকে উদ্ধার করা হয়। এসময় তোফায়েলকে গ্রেফতার দেখিয়ে ওই কিশোরীকে হাসপাতালে পাঠানো হয়। তবে ওই কিশোরী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন কি না তা মেডিক্যাল রিপোর্ট পেলে জানা যাবে।
কামরাঙ্গীরচর থানার আরেক উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোর্শেদ আলী জানান, কামরাঙ্গীরচর এলাকায় এক কিশোরীর বাবা একটি মুরগির দোকানে কাজ করেতেন। ওই মুরগির দোকানের মালিক আবুল (৩৫) ওই কিশোরীর বাবার কাছে ছয় হাজার টাকা পান। ওই টাকা দিতে না পারায় তার মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক করতে চান ওই মালিক আবুল। দীর্ঘদিন চেষ্টার পর বাবার সহায়তায় ওই কিশোরীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করেন আবুল। পরে ওই কিশোরী পাশের বাসার এক নারীর কাছে বিষয়টি খুলে বললে তিনি ৯৯৯-এ ফোন দিয়ে বিষয়টি জানান। এরপর পুলিশ তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। পরে ধর্ষণে সহায়তা করার জন্য ওই কিশোরীর বাবাকে গ্রেফতার করা হয়। এ ব্যাপারে পরিবার পক্ষ থেকে একটি মামলা করা হয়েছে।