কুয়ায় মিললো কিশোরীর মরদেহ, মৃত্যু নিয়ে ধুম্রজাল

নিখোঁজের দুই দিনপর গভীর কুয়া থেকে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে সুমাইয়া আক্তার (১২) নামে এক কিশোরীর মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকারী দল।

শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে সুমাইয়ার মরদেহের সন্ধান পায় স্থানীয়রা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা অভিযান চালিয়ে সন্ধ্যা ৭টার দিকে মরদেহটি উদ্ধার করে।

মৃত সুমাইয়া ওই এলাকার ছয়দুর রহমানের মেয়ে। তার মা নাজমা বেগম ছয়দুর রহমানের সঙ্গে ডিভোর্স করে দ্বিতীয় স্বামী মহসিন মিয়া ও তার এক বোনের কাছে সুমাইয়াকে রেখে কাতার চলে যান। পরিবারের দাবি সুমাইয়া মানসিক প্রতিবন্ধী ছিলেন।

স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে সুমাইয়া রাতের খাবার খেয়ে ঘর থেকে বের হন। এরপর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। দুপুর আড়াইটার দিকে নাসিমা আক্তার নামের একজন নারী কুয়ার মধ্যে তার মরদেহ দেখে পরিবারের অন্য সদস্যদের বিষয়টি জানায়। খবর পেয়ে কমলগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তার মরদেহ উদ্ধারের চেষ্টা করে। পরে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স মৌলভীবাজার সদর স্টেশনের একটি ইউনিট উদ্ধার কাজে নামলে সন্ধ্যা ৭টায় মরদেহ তুলে আনা হয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উদ্ধার কাজে অংশ নেওয়া এক যুবক বলেন, এই কুয়ার ঢাকনা ৪/৫ বছর বন্ধ ছিল। যেই কুয়া এতোই অন্ধকার যে সেখান নিচে কি আছে দেখা সম্ভব না। কুয়ার একেকটি ঢাকনা সরাতে ৩/৪ জন মানুষের প্রয়োজন হয়। সেই কুয়াতে এই মেয়ে কিভাবে গেল। তাকে মানসিক প্রতিবন্ধী বলা হচ্ছে কিন্তু মেয়েটি প্রতিবন্ধী নয় বরং একটু সহজসরল।

ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স মৌলভীবাজার সদর স্টেশনের স্টেশন মাস্টার জালাল আহমদ বলেন, টানা দুই ঘণ্টার উদ্ধার অভিযান শেষে মেয়েটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ৭০ ফুট গভীর সরু নলকূপের ভেতরে তার মরদেহ পড়েছিল।

কমলগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) বেলায়েত হোসেন বলেন, মরদেহ দেখে এখনো কিছু ধারণা করা যাচ্ছেনা। মরদেহ মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *