করোনা নয়, জ্বর-কাশি সমস্যায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের নেপালি ছাত্রকে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরীক্ষা ও চিকিৎসা শেষে তাকে খুবি ক্যাম্পাসে ফেরত আনা হয়েছে। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
খুমেক হাসপাতালের পরিচালক ডাক্তার এটিএম মনজুর মোর্শেদ জানান, ‘নেপালি নাগরিক ও খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্র সর্দি জ্বর ও কাশি নিয়ে সোমবার সকালে খুমেক হাসপাতালে ভর্তি হয়। তাকে করোনা ইউনিটে ভর্তি করার পর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়। পরে বেলা আড়াইটার দিকে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ওই ছাত্র করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত নয়। নেপালে এখনও কেউ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়নি। এরপরও তাকে নিজ কক্ষে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।’
এদিকে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ গুজব না ছড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে। খুবি’র জনসংযোগ ও প্রকাশনা বিভাগের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) এস এম আতিয়ার রহমান বলেছেন, নেপালি শিক্ষার্থীকে সর্দি কাশিজনিত উপসর্গের জন্য চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং কয়েকটি অনলাইনে করোনা ভাইরাসের সন্দেহ পোষণ করে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে তা সঠিক নয়।
প্রকৃতপক্ষে ওই শিক্ষার্থী নেপাল থেকে গত শনিবার বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ফেরার পর আবহাওয়া পরিবর্তনজনিত ঠান্ডা-গরমে তার সর্দি-কাশির উপসর্গ দেখা দেয়। এরপর চিকিৎসার জন্য সোমবার সকাল ১০টায় খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। বিদেশি শিক্ষার্থী বিধায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে পর্যবেক্ষণ করে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেন এবং ব্যবস্থাপত্রে আরটিআই উল্লেখ করে সর্দি ও কাশির ওষুধ সেবনের পরামর্শ দেন। একইসঙ্গে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দেন। এর পরপরই ওই শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ফিরে আসেন।
করোনা ভাইরাসের বিষয়টি যেহেতু এখন অত্যন্ত স্পর্শকাতর, তাই খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই শিক্ষার্থীর বিষয়ে গুজব না ছড়ানোর জন্য বা এ বিষয়ে আতঙ্কিত না হওয়ার জন্য সব মহলের প্রতি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিশেষভাবে অনুরোধ জানাচ্ছে।’