গুরুদাসপুরে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ হত্যা মামলার আসামি নিহত

নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলায় পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ চাঞ্চল্যকর বৃদ্ধা মনোয়ারা বেগম হত্যা মামলার আসামি মো. আবু হানিফ বেপারী (৪০) নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন দুই পুলিশ সদস্য।

ঘটনাস্থল থেকে একটি পিস্তল ও একটি দেশীয় তৈরি পাইপগান ও ৫ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) দিনগত ভোর রাতে উপজেলার কালাকান্দ (পারগুরুদাসপুর) এলাকায় এ ‘বন্দুকযুদ্ধ’ হয়। নিহত আবু হানিফ উপজেলার তালাকান্দর গ্রামের মৃত রুহুল বেপারীর ছেলে। আহত দুই পুলিশ সদস্য হলেন- কামাল হোসেন ও রুবেল হোসেন। তারা দুইজনই গুরুদাসপুর থানায় কর্মরত।

নাটোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আকরাম হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, চলতি বছরের ১৬ জানুয়ারি ভোর রাতে গুরুদাসপুর পৌর এলাকার বাসিন্দা মনোয়ারা বেগমকে (৬২) ছুরিকাঘাতে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় মামলা হলে গুরুদাসপুর থানার পুলিশ তদন্তে নামেন এবং তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় আসামিদের শনাক্ত করা হয়।

পরে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে গত বুধবার (২২ জানুয়ারি) দিনগত মধ্যরাত ১টার দিকে সিংড়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. জামিল আকতারের নেতৃত্বে গুরুদাসপুর থানার পুলিশ রাজধানী ঢাকার মেরুল বাড্ডা থেকে মনোয়ারা হত্যা মামলার ভাড়াটে খুনি আবু হানিফ বেপারীকে গ্রেফতার করা হয়।

তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে অন্য সহযোগীদের ধরতে বৃহস্পতিবার দিনগত রাত পৌনে ৩টার দিকে গুরুদাসপুর উপজেলার পারগুরুদাসপুর (কালাকান্দ) এলাকায় অভিযান চালানো হয়।

অভিযানের সময় গুরুদাসপুর থেকে কালাকান্দর সংযোগ সড়কের পাশে কলাবাগানে অবস্থানরত হত্যা মামলার পলাতক আসামিরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। পুলিশও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালায়।

একপর্যায়ে গ্রেফতার আসামি আবু হানিফ বেপারী পালানোর চেষ্টা করলে গুলিবিদ্ধ হন। এ সময় দুইজন পুলিশ সদস্যও আহত হন। এ অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে চিকিৎসক আবু হানিফকে মৃত ঘোষণা করেন।

তিনি আরও জানান, ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ  পিস্তল ও দেশীয় তৈরি পাইপগান এবং ৫ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করে। পলাতক অন্য আসামিদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। নিহত আসামি আবু হানিফ বেপারীর বিরুদ্ধে ইতোপূর্বে ডাকাতি ও অস্ত্র আইনে একাধিক মামলা রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *