রাজধানীর বংশাল থানাধীন গুলিস্তান সুন্দরবন স্কয়ার সুপার মার্কেট ব্যবসায়ীদের ওপর যুবলীগ নেতা শাহাবুদ্দিন আহমেদের ক্যাডার বাহিনী হামলা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় সুন্দরবন স্কয়ার মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাইনুল ইসলাম মামুনসহ (৪৮) ৫ জন আহত হয়েছেন। শনিবার (২৫ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে ওই মার্কেটের ভেতরে হামলার ঘটনা ঘটে।
আহতরা বর্তমানে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আহত অন্য ব্যক্তিরা হলেন, ফারুক হোসেন পলাশ (৩৫), সাকিব (৪০), কাউসার (৩৫) ও মনির (৪০)।
ঢামেক হাসপাতালের ক্যাম্প পুলিশ ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া জানান, ‘এই হামলার ঘটনায় আহতরা হাসপাতালের জরুরি বিভাগে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছে। তারা বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এদের মধ্যে মাইনুল ইসলাম মামুন ও ফারুক হোসেন পলাশের অবস্থা গুরুতর। দুজনই মাথায় গুরুতর আঘাত পেয়েছেন।
ঘটনার বিষয়ে গুলিস্তান সুন্দরবন স্কয়ার সুপার মার্কেট দোকান মালিক সমিতির সহ-সভাপতি আবু বক্কার সিদ্দিক বলেন, ২০ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা শাহাবুদ্দিনের নির্দেশে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে। শাহাবুদ্দিনসহ দক্ষিণ সটি কর্পোরেশনের ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আহাদ বাপ্পি ও রনিসহ ৬০/৭০ জন ক্যাডার হঠাৎ সমিতির অফিসে হামলা চালায়। এসময় মার্কেটের ১৫ থেকে ১৬ জন ব্যবসায়ী তাদের হামলায় আহত হয়েছেন বলে তিনি দাবি করেন।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, যুবলীগ নেতা শাহাবুদ্দিন একজন দখলবাজ। সে মার্কেট দখল করতে এই হামলা চালায়। এই শাহাবুদ্দিন কয়েক বছর আগে ক্যাসিনোকাণ্ডে গ্রেফতার যুবলীগ নেতা ইসমাইল চৌধুরী সমাট্রের সহযোগিতায় সুন্দরবন স্কয়ার সুপার মার্কেট দোকান মালিক সমিতি দখল করে নেয়। এরপরই ওই মার্কেটে অবৈধভাবে ১২শ দোকান বানিয়ে নিজেরাই বিক্রি করে দেন। এ নিয়ে সিটি করপোরেশনসহ বিভিন্ন দফতরে শাহাবুদ্দিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করলেও কোনও প্রতিকার পাইনি।
এ বিষয়ে বংশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহীন ফকির বলেন, গুলিস্তান সুন্দরবন স্কয়ার মার্কেটে মারামারি-হামলার ঘটনা ঘটেছে। তবে কে কোন পক্ষ তা বোঝা যায়নি। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছে। এই বিষয়ে কেউ যদি অভিযোগ দেয় তবে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেবো।