ঢাকা থেকে জ্বর নিয়ে বগুড়ার আদমদীঘিতে নিজ বাড়িতে গিয়ে বিপত্তিতে পড়েছেন এক দিনমজুর। জ্বরের কথা শুনে স্ত্রী তাকে ঘর থেকে বের করে দেন। পরে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ওই বাড়িতে গিয়ে পুরো পরিবারকে কোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশ দেন। এছাড়া ওই এলাকার বিদেশফেরত আরও দুই ব্যক্তির পরিবারকেও হোম কোয়ারেন্টিন করা হয়েছে।
সোমবার (৩০ মার্চ) বিকালে বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার কেশরতা গ্রামে এ ঘটনায় তিন বাড়িতে লাল পতাকা টানিয়ে দেওয়া হয়।
স্বাস্থ্য বিভাগ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, আদমদীঘির কেশরতা গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে ইউসুফ আলী ২২ দিন আগে প্রায় দুই বছর পর দুবাই থেকে দেশে ফেরেন। ঢাকা থেকে ফরিদপুর হয়ে গত ২০ মার্চ তিনি বাড়িতে আসেন।
একই দিন বয়েজ উদ্দিনের ছেলে মেরিন ইঞ্জিনিয়ার মেহেদী হাসানও বাড়িতে ফেরেন। সর্বশেষ মোজাম্মেল হকের ছেলে কাবিল উদ্দিন ঢাকা থেকে জ্বর নিয়ে ট্রাকে করে সোমবার সকালে বাড়িতে আসেন। জ্বরের কথা জানতে পেরে স্ত্রী তাকে ঘর থেকে বের করে দেন।
পরে বিষয়টি জানাজানি হলে করোনা ভাইরাস সন্দেহে পুরো গ্রামে তোলপাড় শুরু হয়। খবর পেয়ে আদমদীঘি সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শহীদুল্লাহ দেওয়ানকে বিষয়টি জানান। পরে দুপুরে মেডিক্যাল টিম নিয়ে ডা. দেওয়ান ওই গ্রামে যান।
ডা. শহীদুল্লাহ দেওয়ান জানান, দুবাই ও ঢাকা ফেরত তিন ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে তাদের পরিবারকে ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টিন করেছেন। তিন বাড়িতে লাল পতাকা টানানো হয়েছে। এছাড়া তাদের শরীরে করোনা ভাইরাসের কোনও উপসর্গ নেই বলে জানান তিনি। এদের মধ্যে জ্বরে আক্রান্ত দিনমজুর কাবিল উদ্দিনের বাড়িতে তার ব্যবহারের জ্য আলাদা একটি টয়লেট স্থাপন করে দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এছাড়া ইউপি চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান হোম কোয়ারেন্টিনে থাকা তিন পরিবারকে ১৪ দিনের খাবার সরবরাহ করবেন বলে জানিয়েছেন।