পিরোজপুর জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী ফারহানা ইসলামের বিরুদ্ধে টিউবওয়েল দেওয়ার নাম করে প্রায় পৌনে দুই লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার কদমতলার ইউনিয়নের উত্তর ভৈরমপুর এলাকার বাসিন্দা মো. জাহাঙ্গীর হোসেন এ বিষয়ে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী বরিশাল ও প্রধান প্রকৌশলী বরাবর একটি অভিযোগপত্র জমা দিয়েছেন।
জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, গত বছরের জানুয়ারিতে ফারহানা ইসলাম উত্তর ভৈরমপুর এলাকায় মহিলা মাদ্রাসায় একটি টিউবওয়েল ও একটি বাথরুম পরিদর্শনে যান। এ সময় উপসহকারী ফারহানা তাকে ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে অগ্রাধিকার মূলক প্রকল্পের ৪৬টি টিউবওয়েল থেকে ৭টি টিউবওয়েল দেওয়ার প্রস্তাব দেয় এবং এজন্য ২৫ থেকে ৩০ হাজার অফিস খরচ দিতে বলেন।
জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, এরপর বিশুদ্ধ পানির সমস্যায় বেশি ভুগছেন এ রকম জুজখোলা গ্রামের রুস্তুম আলী শেখের কাছে থেকে ২৫ হাজার, দূর্গাপুর গ্রামের দুলার সরদারের কাছ থেকে ২৫ হাজার, জুজখোলা গ্রামের মো. সিরাজ শেখের কাছ থেকে ২৭ হাজার, কলাখালী গ্রামের মামুন- অর-রশিদের কাছে থেকে ২৫ হাজার, সিকদার মল্লিক গ্রামের জাহাঙ্গীর শেখের কাছ থেকে ১৫ হাজার, ভৈরমপুর গ্রামের আলম শেখের কাছ থেকে ২৫ হাজার ও একই গ্রামের এমাম হোসেনের কাছ থেকে ২৫ হাজার টাকা তুলে ফারহানা ইসলামের হাতে দেই। এর মধ্যে আলম শেখ ও এমাম হোসেনের উপস্থিতিতে তাদের দু’জনের টাকা ফারহানা ইসলামের কাছে দেই। বাকি ৫ জনের টাকা আমি একা গত বছরের ৩ ফেব্রুয়ারি প্রকৌশলীর হাতে দেই।
জাহাঙ্গীর হোসেন আরও বলেন, পরে আমি ফারহানা ইসলামের কাছে টিউবওয়েল চাইতে গেলে সে স্থানীয় ক্ষমতার ভয় দেখায়।
এ বিষয়ে প্রকৌশলী ফারহানা ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সত্য নয়।
বরিশাল জনস্বাস্থ্য বিভাগের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘জাহাঙ্গীর হোসেন উপসহকারী প্রকৌশলী ফারহানার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করেছেন সে বিষয়ে একজন সহকারী প্রকৌশলী ও একজন উপসহকারী প্রকৌশলীকে দিয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তাদেরকে ১০ দিনের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।’