ঢাকা: বোতল বা ড্রামে ভরে সব ধরনের লুজ/খোলা পেট্রোল বিক্রি বন্ধ করতে পাম্প মালিকদের অনুরোধ করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান।
বিএনপি-জামায়াতের চলমান অবরোধের মধ্যে যারা সহিংসতা, নাশকতা, গাড়িতে আগুন, পেট্রোল বোমা নিক্ষেপের মতো ঘটনা ঘটাচ্ছে।
তাদের প্রতিরোধে এ অনুরোধ জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার।
সোমবার (৬ নভেম্বর) ডিএমপি সদর দপ্তরের আয়োজিত পেট্রোল পাম্প মালিক সমিতির সঙ্গে নিরাপত্তা ব্যবস্থা সংক্রান্ত মতবিনিময় এসব কথা বলেন ডিএমপি কমিশনার।
পেট্রোলসহ জ্বালানি তেল বিক্রির ক্ষেত্রে লাইসেন্স থাকতে হয় উল্লেখ করে ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেন, লাইসেন্স ছাড়া ও পুলিশ ক্লিয়ারেন্স ছাড়া যদি কেউ লুজ/খোলা পেট্রোল বিক্রি করে আর যদি সে খবর আমরা পাই তাহলে সংশ্লিষ্ট পেট্রোল পাম্পসহ বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
রাজধানীর কেরানীগঞ্জ, যাত্রাবাড়ি, ডেমরা, উত্তরখান এলাকায় অনেক লুজ/খোলা পেট্রোল বিক্রি হচ্ছে।
এগুলো বন্ধ করার ক্ষেত্রে পুলিশের পক্ষ থেকে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে কিনা- সাংবাদিকরা জানতে চাইলে তিনি বলেন, পেট্রোল যদি কেউ বিক্রি করে সেজন্য কিন্তু লাইসেন্স লাগে। কেউ যদি চুপচাপ বা গোপনে খোলা পেট্রোল বিক্রি করে- আমরা জানতে পারলে অবশ্যই ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
কিছুদিন আগেও বিষয়টি নিয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হতো না। এখন যাতে এই ঘটনা না ঘটে সেজন্য সব জায়গায় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
অবরোধের নামে সহিংসতা, নাশকতা, বাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনা প্রতিরোধে কী কী ধরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে, প্রশ্ন করলে ডিএমপি কমিশনার বলেন, আজকে সিদ্ধান্ত হয়েছে ড্রামে বা বোতলে ভরে কোনো পেট্রোল বিক্রি করা যাবে না। শুধু যানবাহনে সরাসরি তেল ভরা যাবে। যদি কোনো পেট্রোল পাম্প বা প্রতিষ্ঠান বিক্রি করে তবে সেটি তাদের জানা থাকতে হবে এবং পুলিশকে জানাতে হবে। এর বাইরে কোনো লুজ/খোলা পেট্রোল বিক্রি করা যাবে না।
হাবিবুর রহমান বলেন, লুজ/খোলা পেট্রোল বিক্রি করার ক্ষেত্রে অবশ্যই পুলিশি ক্লিয়ারেন্স লাগবে। সুতরাং পেট্রোল বোম প্রতিরোধ করার সুযোগ আছে। তবে যারা নাশকতা, পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করছে, তারা যদি গাড়ি থেকে পেট্রোল বের করে নিয়ে যায়, সেটা কিন্তু অনেকখানি দুষ্প্রাপ্য বা কষ্টকর৷ তবে পেট্রোল পাম্প থেকে লুজ /খোলা পেট্রোল বিক্রি বন্ধ তো আমরা করতে পারবো। আমাদের সবারই সচেতনতা দরকার।
কোনো গাড়ির চালক বা হেলপার পেট্রোলের ‘মিস ইউজ’ করছে কিনা সে ব্যাপারে কর্তৃপক্ষকে নজর রাখতে হবে বলেও জানান ডিএমপি কমিশনার।
পেট্রোল পাম্প মালিকদের অনুরোধ করে ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেন, এর আগে কিন্তু হরতাল অবরোধের সময় পাম্পে আগুন দেওয়া হয়েছিল। সেজন্য আমাদের সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। পুলিশের পক্ষ থেকে নিয়ম রয়েছে মাসে অন্তত একবার পেট্রোল পাম্প ভিজিট করা। আমাদের অফিসাররা অনেক সময় হয়তো ব্যস্ত থাকেন, যেতে পারেন না। এখন যদি আমাদের অফিসাররা যায় তাহলে সহযোগিতা করবেন তথ্য দেবেন। কোনো সমস্যা হলো নিকটস্থ থানায় যোগাযোগ করুন৷ পেট্রোল পাম্পের সিসি ক্যামেরা স্থাপন করুন। পুরো পেট্রোল পাম্প এলাকার সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় থাকে সেটি নিশ্চিত করুন।