রাজধানীর কুর্মিটোলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে এই ঘটনায় দায়ের করা মামলার আসামি মজনু। বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি গ্রহণ করেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন। জবানবন্দি গ্রহণ শেষে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।
এর আগে, ৭ দিনের রিমান্ড শেষে আসামিকে আদালতে হাজির করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (গোয়েন্দা পুলিশ পরিদর্শক) আবু সিদ্দিক। এরপর আসামি মজনু স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে রাজি হওয়ায় তা লিপিবদ্ধ করার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। ওই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক আসামির জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করেন।
গত ১০ জানুয়ারি নারী ও শিশু আইনের ২২ ধারা অনুযায়ী ভিকটিমের জবানবন্দি গ্রহণ করেন আদালত।
এর আগে, বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেফতার মজনুর সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, গত ৫ জানুয়ারি কুর্মিটোলা বাসস্ট্যান্ড থেকে ৪০-৫০ গজ সামনে আর্মি গলফ ক্লাব মাঠ সংলগ্ন স্থানে পৌঁছান ঢাবির ওই শিক্ষার্থী। এরপর আসামি পেছন দিক থেকে তার গলা ধরে ফুটপাতে ফেলে দেয়। গলা চেপে ধরে। ভিকটিম চিৎকার করতে গেলে আসামি তাকে কিল-ঘুষি মেরে ভয়ভীতি দেখালে তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়েন। তখন ওই শিক্ষার্থীকে মজনু ধর্ষণ করে।
এ ঘটনায় ৬ জানুয়ারি সকালে অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করে ওই ছাত্রীর বাবা ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলাটি ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) তদন্ত করছে। মঙ্গলবার রাতে গাজীপুর মহানগরীর টঙ্গী থেকে মজনুকে গ্রেফতার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।