‘গোয়িং টু বাংলাদেশ আফটার টোয়েন্টিফোর ইয়ার্স’, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন স্ট্যাটাস দিয়ে দেশে ফিরেন সিলেটের বিয়ানীবাজারের রুহুল আমিন (৩৪)।
ছেলেকে অভ্যর্থনা জানাতে ঢাকায় হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে একটি গাড়ি ভাড়া করে ছুটে যান তার বাবা-মা ও স্বজনরা।
ঢাকা থেকে সড়ক পথে রওয়ানা হন সিলেটের বিয়ানীবাজারের উদ্দেশ্যে। কিন্তু ফেরা হয়নি রুহুল আমিনের। পথে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান তিনি। মাতৃভূমিতে ফিরলেও বাবা-মায়ের চোখের সামনেই পরপারে পাড়ি জমান রুহুল আমিন।
বুধবার (১৫ জানুয়ারি) রাতে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের হবিগঞ্জের মাধবপুরে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত রুহুল আমিন সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার কুড়ারবাজার ইউনিয়নের বৈরাগিবাজার খশির নামনগর গ্রামের আলিম উদ্দিনের ছেলে। দুর্ঘটনায় রুহুলের পরিবারের আরো চার সদস্য গুরুতর আহত হয়েছেন।
স্থানীয়রা জানান, ঢাকামুখী ট্রাকের ধাক্কায় রুহুল আমিনদের বহনকারী হাইয়েস গাড়িটি দুমড়ে মুচড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলে প্রাণ হারান আমেরিকা ফেরত এই যুবক।
নিহতের স্বজনরা জানান, নাগরিকত্বের (গ্রিন কার্ড) আশায় রুহুল আমিনের ২৪টি বছর কেটেছে আমেরিকায়। অবশেষে নাগরিকত্ব পেয়ে দেশেও ফিরেছেন। কিন্তু জন্মমাটি সিলেটের বিয়ানীবাজারে ফেরার পথেই মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় বাবা-মায়ের চোখের সামনেই প্রাণ হারান তিনি।
নিহতের স্বজনরা আরো জানান, ১৫ জানুয়ারি রুহুল প্লেনযোগে ঢাকা পৌঁছান। সেখান থেকে আনতে যান বাবা-মা ও স্বজনরা। কিন্তু ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে তাদের বহনকারী মাইক্রোবাস ও ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে রুহুল আমিন ঘটনাস্থলে মারা যান। তার মরদেহ হবিগঞ্জ সদর হাসপাতাল থেকে সিলেটে আনার প্রক্রিয়া চলছে।