স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, আপনারা জানেন চীন কীভাবে করোনা মোকাবিলা করেছে। তারা প্রায় ৫ কোটি মানুষকে কোয়ারেন্টিন করেছে। আজকে আমাদের দেশও মোটামুটি ১০ দিনের কোয়ারেন্টিনে যাচ্ছে। বুধবার (২৫ মার্চ) স্বাস্থ্য অধিদফতরে বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিক্যাল কলেজ অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিএমসিএ) কাছ থেকে পার্সোনাল প্রটেক্টিভ ইকুইপমেন্ট (পিপিই) সামগ্রী গ্রহণ বিষয়ক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
স্বাস্থ্য মন্ত্রী বলেন, ‘সরকার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে। সেনাবাহিনী মাঠে নেমেছে, মাঠে পুলিশ আছে। আমি আহ্বান করবো, প্রতিটি ব্যক্তি ঘরে থাকবেন এবং নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখবেন। এই যে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে, এই ছুটি ঘুরে বেড়ানোর জন্য নয়। ছুটির দেওয়া উদ্দেশ্য হলো— সবাইকে বাড়িতে থাকার জন্য। করোনাভাইরাস খুবই সংক্রামক। এর থেকে রক্ষা পেতে হলে আমাদেরকে নিরাপদে থাকতে হবে। যার যার বাড়িতে থাকলে এটার সুফল পাওয়া যাবে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে কেউ বের হবেন না। এটার সফলতা সবার ওপরে নির্ভর করবে। তারা যদি সরকারি নির্দেশনাসহ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরামর্শ মেনে চলেন, তাহলে এটা সুফল বয়ে আনবে।’
প্রত্যেকটি জেলায় ৫টি করে হটলাইন চালু করা হচ্ছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘এর ফলে আমাদের এই হটলাইনের সংখ্যা হবে ৩৫০টি। এখন স্বাস্থ্য অধিদফতরে ১৭টি হটলাইন ৫৭টিতে উন্নীত করা হলো। আমরা একটি ল্যাবে কাজ করছিলাম। এখন ১০টি ল্যাব বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজে, প্রতিষ্ঠানে স্থাপন করছি। অল্প দিনের মধ্যে এই ল্যাবগুলো চালু হয়ে যাবে। আজকে (বুধবার) আমাদের মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, এই ১০ দিন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় খোলা থাকবে।’
এসময় বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, ‘আমি প্রাইভেট হাসপাতালগুলোকে বলবো— কোনও রোগী গেলে যেন ফেরত না দেয়। চিকিৎসক ও নার্সদের বলবো— আপনারা সেবা থেকে পিছপা হবেন না। যথাযথ সুরক্ষা নিয়ে সেবা দেবেন। আমরা চাই, যেসব বেসরকারি বড় বড় হাসপাতাল আছে, তারা আইসলেশন ওয়ার্ড তৈরি করবে। তাদের এই সক্ষমতা আছে। এই ক্রান্তিলগ্নে আমরা সেবা থেকে পিছপা হলে জাতির কাছে অন্যরকম একটা বার্তা যায়। আমরা কুর্মিটোলা হাসপাতালকে করোনা আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত করবো। এটি একটি বড় জায়গায় আছে। এখানে আধুনিক সব সুবিধা আছে। প্রত্যেকটি জেলায় একটি করে অ্যাম্বুলেন্স নিয়োজিত থাকবে শুধুমাত্র করোনা আক্রান্ত রোগী বহন করার জন্য।’