রাজধানী কুর্মিটোলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় দ্বিতীয় দিনের মতো অনশন করছেন শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) সকালে তারা ওই অনশন শুরু করেন।
এর আগে সোমবার (৬ জানুয়ারি) অনশন শুরু করেন দর্শন বিভাগের ২০১৩-১৪ সেশনের সিফাতুল ইসলামের সঙ্গে মৃত্তিকা, পানি ও পরিবেশ বিভাগের সাইফুল ইসলাম রাসেল, ডাকসুর সদস্য ও তথ্য ও প্রযুক্তি ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী মোস্তাফিজুর রহমান।
সিফাতুল ইসলাম বলেন, আমাদের বোন ধর্ষণের শিকার হয়েছে, তার প্রতিবাদে আমরা দ্বিতীয় দিনের মতো অনশন পালন করছি। আমরা দ্রুত ধর্ষকদের গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. গোলাম রব্বানী বলেন, ইতোমধ্যে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী অনেক আলামত উদ্ধার করেছে। আমাদের সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে, ছাত্রীর যেন কোনো ধরনের ক্ষতি না হয়।
রোববার (৫ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে করে শেওড়া যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন ওই ছাত্রী। সন্ধ্যা ৭টার দিকে কুর্মিটোলায় বাস থেকে নামার পর অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি মুখ চেপে তাকে পাশের একটি স্থানে নিয়ে ধর্ষণ ও শারীরিক নির্যাতন করে। পরে রাত ১০টার দিকে সেখান থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে নিজ গন্তব্যে পৌঁছালে রাত ১২টার পর তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়। পরে তাকে ওসিসিতে ভর্তি করা হয়।