ধর্ষণ ও অনৈতিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগে অভিযোগে হবিগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির দুই সদস্যকে শোকজ করা হয়েছে। রবিবার (১৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় হবিগঞ্জ জেলা অ্যাডভোকেট সমিতির জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ওই দুই আইনজীবী হলেন-হবিগঞ্জ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) অ্যাডভোকেট আবুল কালাম ও অ্যাডভোকেট আবুল খায়ের আজাদ। শোকজের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হবিগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রুহুল হাসান শরীফ।
তিনি বলেন, ধর্ষণ ও অনৈতিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগে অভিযোগে দুই আইনজীবীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তাদের এই অনৈতিক কর্মকাণ্ডের কারণে হবিগঞ্জ জেলা অ্যাডভোকেট সমিতির ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে। এ কারণে সংগঠনের নিয়ম অনুযায়ী কার্যনির্বাহী কমিটির বিশেষ জরুরি সভায় তাদেরকে শোকজ করা হয়।
প্রসঙ্গত গত শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) দুপুরে চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের তৃতীয় তলায় সরকার কর্তৃক বরাদ্দ এপিপির কক্ষে দরজা বন্ধ করা অবস্থায় এক নারীর সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় পাওয়া যায় অ্যাডভোকেট আবুল কালামকে।
বিষয়টি জানাজানি হলে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. নুরুল হুদা চৌধুরী ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিষয়টি আবুল কালামকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি ম্যাজিস্ট্রেটের সঙ্গেও অশোভন আচরণ করেন। পরে শুক্রবার রাত ১০টার দিকে ওসি (অপারেশন) দৌস মোহাম্মদ শহরের মোহনপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে নিজ বাসা থেকে তাকে আটক করে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে শনিবার সন্ধ্যায় উপ পরিদর্শক (এসআই) খুরশেদ আলী বাদী হয়ে তার বিরুদ্ধে সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়।
অন্যদিকে গত ৭ জানুয়ারি অ্যাডভোকেট আবুল খায়ের আজাদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেন বৃন্দাবন কলেজের স্নাতক (সম্মান) পড়ুয়া এক ছাত্রী।