ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় নিখোঁজের চার দিন পর বাথরুমের সেপটিক ট্যাংক থেকে ছাইদুর রহমান (১৯) নামে এক সিএনজি অটোরিকশা চালকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ বৃহম্পতিবার (২ জানুয়ারি) সকালে কসবা পৌর এলাকার কাঞ্চনমুড়ি গ্রামের একটি মাঠের সেপটিক ট্যাংক থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
ছাইদুর কাঞ্চনমুড়ি গ্রামের হুমায়ুন কবীরের ছেলে। হুমায়ুন কবীর ও তার স্ত্রী হনুফা বেগম জানান, গত রবিবার (২৯ ডিসেম্বর) রাত ৮টার দিকে ছাইদুর বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফেরত আসেনি। তার সঙ্গে থাকা মোবাইল ফোনটিও বন্ধ পাওয়া যায়। তাকে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও কোনও খবর মেলেনি। পরে তার মা হনুফা বেগম বাদী হয়ে গত ৩১ ডিসেম্বর কসবা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। আজ বৃহম্পতিবার সকালে কাঞ্চনমুড়ি গ্রামের মাঠের এক পাশে বাথরুমের সেপটিক ট্যাংকের ভেতরে একটি লাশ দেখে এলাকাবাসী জমায়েত হন। খবর পেয়ে কসবা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ছাইদুরের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে।
নিহতের বাবা-মা এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি করেন। তবেক প্রাথমিকভাবে তারা কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেননি।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত কসবা সার্কেলের এএসপি আব্দুল করিম ও কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) আসাদুল ইসলাম জানান, নিহত ছাইদুর রহমান একজন সিএনজি চালক। তাকে গলাকেটে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে তদন্ত করে হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে।