‘নিহত’ ব্যক্তি হটাৎ জীবিত!

যাকে হত্যার অভিযোগে মামলা হয়েছিল হুট করে থানায় হাজির সেই ব্যক্তিই! স্বশরীরে এসে পুলিশকে জানিয়েছেন ‘আমি এখনো জীবিত’।

শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) বিকেলে এ ঘটনা ঘটেছে রাজশাহীর বাঘায়।

আমিনুল ইসলাম নামে ওই শ্রমিক বাঘা থানায় হাজির হয়ে পুলিশের কাছে লিখিত দিয়েছেন। জানিয়েছেন, তাকে কেউ হত্যা করেনি।

গত ৩ ডিসেম্বর রাজশাহী চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আমিনুলকে হত্যার অভিযোগে মামলা করেছিলেন স্ত্রী জালেমা বেগম।

ওই মামলায় একই গ্রামের মৃত মফেল উদ্দিনের ছেলে লালু মিয়াকে আসামি করা হয়। লালু মিয়া আমিনুলের বন্ধু। তার বিরুদ্ধে স্বামীকে হত্যার পর গুম করার অভিযোগে মামলা করেছিলেন জালেমা বেগম। রাজশাহী চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মেহেদী হাসান তালুকদার মামলাটি গ্রহণের পর ঘটনা তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দেন।

তবে শেষপর্যন্ত মরদেহ নয়, জীবিতই পাওয়া গিয়েছে আমিনুল ইসলামকে। তিনি বাঘা উপজেলার বলিহার গ্রামের গোলাম হোসেনের ছেলে।

আমিনুলের বরাতে বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম  জানান, কারণে-অকারণে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হতো। এতে স্ত্রীর কাছে নির্যাতিত হন আমিনুল। একারণে স্ত্রীকে না জানিয়ে ফরিদপুরে শ্রমিকের কাজে চলে গিয়েছিলেন আমিনুল। বাড়ি ছেড়ে যাওয়ার পর স্ত্রীর সঙ্গে সবধরনের যোগাযোগও বন্ধ করে দেন। শেষপর্যন্ত খোঁজ-খবর না পেয়ে স্ত্রীর ধারণা হয়, আমিনুলের বন্ধু লালু মিয়াই তাকে হত্যা করে গুম করেছেন।

এমন সন্দেহ থেকে হত্যার অভিযোগে লালু মিয়ার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন জালেমা বেগম। আদালতে হত্যা মামলা দায়েরের বিষয়টি জানার পর শুক্রবার বাঘা থানায় হাজির হন আমিনুল এবং পুলিশকে লিখিতভাবে অবহিত করেন।

তবে আদালত থেকে মামলা সম্পর্কিত তদন্তের নির্দেশ এখনো থানায় আসেনি। আসলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ওসি নজরুল ইসলাম।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *