শেরপুর: ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে পরকীয়া করতে গিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের হাতে আটক হওয়ার পর বিয়ে করার শর্তে মুচলেকা দিয়ে ছাড় পেয়েছেন এক সহকারী উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এএসআই)।
তার নাম ওয়াহিদুল ইসলাম (৪২)।
শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ী থানায় এএসআই (সহকারী উপ-পুলিশ পরিদর্শক) হিসেবে কর্মরত তিনি। তিনি দুই মেয়ের বাবা।
রোববার (১৯ নভেম্বর) ভোরে হালুয়াঘাট উপজেলার ধারা এলাকায় এক নারীর বাড়িতে স্থানীয়রা এএসআই ওয়াহিদুল ইসলামকে আটক করে। পরে রাতে বিয়ে করবে বলে মুচলেকা দিলে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
নারীর পরিবার ও স্থানীয়রা জানান, হালুয়াঘাটে চাকরি করার সময় ধারা ইউনিয়নে বিবাহিতা ওই নারীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে অবৈধ প্রেমের সম্পর্ক গড়েন এএসআই ওয়াহিদুল। পরে তার বদলি হয় নালিতাবাড়ী থানায়।
গত দুই বছর ধরে তিনি ওই প্রেমিকার বাড়িতে মাঝে মাঝে যেতেন ও রাত্রী যাপন করে ভোরে কর্মস্থলে চলে আসতেন। গৃহবধূ ও পরিবার থেকে বার বার বিয়ের কথা বললেও তিনি কালক্ষেপণ করে আসছিলেন। এলাকাবাসীও বিষয়টি নজরে রাখছিল।
এলাকাবাসী জানায়, শনিবার (১৮ নভেম্বর) রাতে ওই গৃহবধূর বাড়িতে তিনি রাত্রীযাপন করেন। সকালে স্থানীয়রা তাকে আটক করে বিয়ের জন্য চাপ দেয় ও বিষয়টি থানায় অবহিত করে। পরে হালুয়াঘাট থানা থেকে ঘটনাস্থলে পুলিশ আসে। এএসআই ওয়াহিদুল উপস্থিত পুলিশ ও এলাকাবাসীর সামনে বিয়ে করবেন বলে মুচলেকা দেন।
নালিতাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এমদাদুল হক বলেন, ঘটনাটি শুনেছি এখন এ ব্যাপারটি নিয়েই হালুয়াঘাট থানার ওসির সঙ্গে কথা হচ্ছে।