যশোর ক্যান্টনমেন্ট কলেজের মানবিক শাখার পিকনিক ছিল সোমবার (৯ মার্চ)। একমাস আগে নোটিশ দেওয়া হলেও পিকনিকে যাওয়ার ইচ্ছে ছিল না আবির হোসেনের। বাস ছাড়ার ঠিক আগ মুহূর্তে চাঁদা দিয়ে পিকনিকে যায় সে। কিন্তু সেখান থেকে আর ফেরা হয়নি তার। পিকনিকে গিয়ে পদ্মায় গোসল করতে নেমে ডুবে মারা যায় আবির।
কলেজ সূত্রে জানা গেছে, যশোর ক্যান্টনমেন্ট কলেজের একাদশ শ্রেণির মানবিক ‘ক ও খ’ শাখার ১৩১ জন শিক্ষার্থী ও ৯ জন শিক্ষক সোমবার (৯ মার্চ) কুষ্টিয়ার শিলাইদহে রবীন্দ্রনাথের কুঠিবাড়িতে যান। ঘনিষ্ঠ সব বন্ধুরা যাচ্ছে বলে বাস ছাড়ার আগ মুহূর্তে সে চাঁদা দিয়ে পিকনিকে যায়।
দুপুরে আবির ও তার বন্ধুরা পদ্মার চরে ফুটবল খেলা শেষে নদীতে গোসলে নামে। এসময় হঠাৎই নদীতে ডুবে যায় সে। বন্ধুরা শুরুতে খোঁজাখুঁজি করেও তাকে উদ্ধারে ব্যর্থ হয়। এরপর উদ্ধার কাজে অংশ নেয় ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। প্রায় সাড়ে ৬ ঘণ্টা পর রাত পৌনে ৯টার দিকে আবিরের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
আবিরের বাবা আহসান হাবীব জানিয়েছেন, তার ছেলে সাঁতার জানতো না।
মঙ্গলবার (১০ মার্চ) সকাল ১০টায় কলেজ ক্যাম্পাসে আবিরের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। যশোর ক্যান্টনমেন্টের জিওসি মেজর জেনারেল হুমায়ুন কবীরসহ সামরিক কর্মকর্তারা জানাজায় অংশ নেন। জানাজা শেষে শিক্ষক ও সহপাঠীরা আবিরের মরদেহ তার গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যান।
আবির ঝিনাইদহের কোর্টচাঁদপুরের সাবদালপুর গ্রামের আহসান হাবিবের ছেলে।