পিরোজপুরের জেলা ও দায়রা জজ মো. আবদুল মান্নানকে প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। আগামী ১১ মার্চের মধ্যে আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিবকে এ রুলের জবাব দিতে বলেছেন আদালত।
এ সংক্রান্ত কয়েকটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদন আদালতের নজরে আনার পর বুধবার (৪ মার্চ) বিচারপতি তারিক উল হাকিম ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বপ্রণোদিত হয়ে এ রুল জারি করেন।
প্রতিবেদনগুলো আদালতের নজরে আনেন আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ। এ আইনজীবী জানান, ‘মন্ত্রণালয়ের এই ধরনের সিদ্ধান্ত বিচার বিভাগ পৃথকীকরণ মাসদার হোসেন মামলার রায়ের পরিপন্থী এবং সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। তাই এ সংক্রান্ত দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন আদালতের নজরে আনলে রুল জারি করা হয়।’
দুর্নীতির একটি মামলায় পিরোজপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ কে এম এ আউয়াল দম্পতির জামিন আবেদন নাকচ করে তাদের জেল হাজতে পাঠানোর আদেশ দিয়েছিলেন জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আবদুল মান্নান। মঙ্গলবার (৩ মার্চ) দুপুরে এ আদেশ দেওয়ার পর বিকাল না গড়াতেই আইন মন্ত্রণালয় থেকে তাৎক্ষণিকভাবে বদলির (স্ট্যান্ড রিলিজ) নির্দেশ পান ওই বিচারক। আর বিচারক বদলের চার ঘণ্টার মধ্যেই মামলাটিতে জামিন পান ওই দম্পতি।