ঢাকা: গত ২৮ অক্টোবর মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে পুলিশের মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর ভাঙচুর ও অস্ত্র ছিনতাইয়ের অভিযোগে রাজধানীর পল্টন থানায় দায়ের করা মামলায় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্সের জামিন নামঞ্জুর করেছেন আদালত।
বুধবার (০৬ ডিসেম্বর) ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক ফয়সল আতিক বিন কাদের এ আদেশ দেন।
গত ৪ নভেম্বর প্রিন্সকে বাড্ডার একটি বাসা থেকে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশ। পরদিন তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
সেই রিমান্ড শেষে গত ৮ নভেম্বর জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ফারাহা দিবা ছন্দা। সিএমএম আদালতে জামিন নামঞ্জুরের আদেশের বিরুদ্ধে ফৌজদারি বিবিধ মামলা দায়ের করে মহানগর দায়রা জজ আদালতে জামিন চান তিনি।
সেই আবেদনের শুনানি শেষে আজ জামিন নামঞ্জুর করে আদেশ দিয়েছেন আদালত।
পিস্তল ছিনতাই ও পুলিশের মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘর ভাঙচুরের অভিযোগে গত ২ নভেম্বর খিলক্ষেত থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে পল্টন থানায় এ মামলা দায়ের করেন।
মামলায় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ ১৫ জনের নাম উল্লেখসহ ৩০০-৪০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, গত ২৮ অক্টোবর বিকেল ৩টা ১০ মিনিটে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও ঢাকা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালামের উসকানি ও প্রত্যক্ষ নির্দেশনায় এজাহারনামীয় এবং অজ্ঞাতনামা পলাতক আসামিরা পল্টন থানাধীন পুলিশ ক্যান্টিনে ভাঙচুর করে এবং পুলিশের মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে ইটপাটকেল মেরে জাদুঘরের গ্লাস ভেঙে ক্ষতি সাধন করে। মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। চানমারী পুলিশ লাইন্সের ডিউটি পোস্টে অগ্নিসংযোগসহ ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে।
পুলিশ তাদের নিবৃত করতে গেলে তিন দিক থেকে পুলিশের ওপর হামলা চালানো হয়। এতে কয়েকজন পুলিশ আহত হন এবং এএসআই এরশাদুল হককে হত্যার উদ্দেশে এলোপাতাড়ি মারধর করে তার পিস্তল ও আট রাউন্ড গুলি ভর্তি ম্যাগাজিন ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
এ মামলার উল্লেখ্যযোগ্য আসামিরা হলেন- বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক এমরান সালেহ প্রিন্স, যুগ্ম মহাসচিব মজিবুর রহমান সারোয়ার, ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, যুগ্ম মহাসচিব হাবিবুন নবী খান সোহেল, মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপন প্রমুখ।