নাটোর: নাটোরের সিংড়া পৌরসভার গ্যারেজে রাখা মেয়রের ব্যক্তিগত গাড়ি (জিপ) ও অ্যাম্বুলেন্সসহ ‘চলো প্রকল্পের’ ১২টি যানবাহন আগুনে পুড়ে গেছে। এতে প্রায় দুই কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে।
মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) ভোর পৌনে ৪টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে দুই ঘণ্টা চেষ্টায় ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে পাওয়া গেছে বলে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস দাবি করেছেন।
সিংড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিজানুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, প্রাথমিক তদন্তে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে জানা গেলেও আসল কারণ উদ্ঘাটন করা হবে। এছাড়া এটা নাশকতা কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
সিংড়া ফায়ার সার্ভিস ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, সোমবার (৪ ডিসেম্বর) রাতে মেয়রের ব্যবহৃত ব্যক্তিগত গাড়ি ও ১১টি ‘চলো’ নামের ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা গ্যারেজে রাখা ছিল। পৌরসভার মালিকানাধীন এই ‘চলো’ যাত্রী পরিবহনে ব্যবহৃত হয়। প্রতিদিন সেখানে এসব ইজি বাইক চার্জ দেওয়া হয়।
মঙ্গলবার ভোরে হঠাৎ গ্যারেজে দাউদাউ করে আগুন জ্বলে ওঠে। এসময় গ্যারেজের নৈশপ্রহরী মাহাতাব আলী আগুনে পুড়ে আহত হন। পরে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। আশপাশের বাড়ির লোকজন ঘটনাটি জানার পর দ্রুত ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ ও বিদ্যুৎ বিভাগে ফোন করে বিষয়টি জানান।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে আগুন নেভাতে শুরু করেন। প্রায় দুই ঘণ্টা চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। ততক্ষণে গ্যারেজের ভেতরে রাখা ১২টি যানবাহন সম্পূর্ণ পুড়ে যায়। তবে গ্যারেজের বাইরে রাখা দুটি গাড়ি অক্ষত রয়েছে। পরে পুলিশ ও পৌরসভার কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
সিংড়া ফায়ার সার্ভিসের ফায়ার ফাইটার সুমন আলী বলেন, প্রাথমিকভাবে তাদের মনে হয়েছে, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে গ্যারেজে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে। তবে কর্তৃপক্ষ চাইলে আগুন লাগার কারণ তদন্ত করা হবে।
সিংড়া পৌরসভার মেয়র মো. জান্নাতুল ফেরদৌস জানান, গতকাল রাতে চালকেরা গাড়িগুলো গ্যারেজে রেখে বাড়িতে গেছেন। ভোরে হঠাৎ আগুন লেগে ১২টি গাড়ি পুড়ে গেছে। এতে প্রায় দুই কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। তদন্ত করে আগুন লাগার কারণ জানা যাবে।
প্রসঙ্গত, গত ২০১৯ সালের ৩০ নভেম্বর সিংড়া শহরকে দূষণমুক্ত ও পৌরবাসীর জরুরি স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে দুটি অ্যাম্বুলেন্স সেবার পাশাপাশি ১০টি পরিবেশবান্ধব ই-রিকশা ‘চলো’ পরিবহন প্রদান করেছে জার্মানির জিআইজেড প্রকল্প। সেগুলোই আগুনে পুড়ে গেছে।