ঢাকা: জয়যাত্রা টিভিতে নিয়োগের নামে প্রতারণার অভিযোগে রাজধানীর পল্লবী থানায় দুই বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক উপ-কমিটি থেকে বহিষ্কৃত নেত্রী হেলেনা জাহাঙ্গীরকে জামিন দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (১৫ নভেম্বর) ঢাকার মহানগর দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামান হেলেনা জাহাঙ্গীরের পক্ষে করা আপিল শুনানির পর জামিনের এ আদেশ দেন।
ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এর আগে ২ নভেম্বর ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেনের আদালতে হেলেনা জাহাঙ্গীর আত্মসমর্পণ করে আপিলের শর্তে জামিন আবেদন করেন।
আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এরপর তিনি মহানগর দায়রা জজ আদালতে আপিল করে জামিন আবেদন করেন।
চলতি বছর ২০ মার্চ হেলেনা জাহাঙ্গীরসহ পাঁচজনকে দুই বছর করে কারাদণ্ড দেন একই আদালত। দণ্ডপ্রাপ্ত অন্য আসামিরা হলেন, হেলেনা জাহাঙ্গীরের আইপিটিভি জয়যাত্রা টেলিভিশনের মহাব্যবস্থাপক হাজেরা খাতুন, টেলিভিশনের সমন্বয়ক সানাউল্লাহ নূরী, প্রধান বার্তা সম্পাদক কামরুজ্জামান আরিফ ও স্টাফ রিপোর্টার মাহফুজুর রহমান।
হেলেনা জাহাঙ্গীর ও হাজেরা খাতুন রায়ের সময় উপস্থিত না থাকায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। রায়ের পর বাকি তিনজনকে সাজা পরোয়ানা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়।
জয়যাত্রা টিভির ভোলা জেলা প্রতিনিধি আবদুর রহমান তুহিন ২০২১ সালের ২ আগস্ট পল্লবী থানায় হেলেনা জাহাঙ্গীরসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, জয়যাত্রা টিভির স্থানীয় সংবাদদাতা হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার জন্য ভোলা জেলার আবদুর রহমান তুহিনের কাছ থেকে ৫৪ হাজার টাকা নেন হেলেনা জাহাঙ্গীর। প্রতিবেদক হিসেবে রহমান কয়েক মাস কাজ করলেও কোনো বেতন পাননি। অন্যদিকে তার কাছ থেকে প্রতিমাসে তিন হাজার টাকা নেয় টেলিভিশন কর্তৃপক্ষ।
২০২১ সালের ২১ নভেম্বর ঢাকার সিএমএম আদালতে হেলেনা জাহাঙ্গীরসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) পরিদর্শক শাহিনুর ইসলাম।
২০২২ সালের ১৮ এপ্রিল অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। মামলার বিচার চলাকালে আদালত ১৩ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করেন। এরপর ১৪ মার্চ রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায়ের জন্য ২০ মার্চ দিন করেন আদালত।