কুমিল্লার চান্দিনা মহাসড়কে নৈশপ্রহরী ও চা দোকানি নাছির উদ্দিনের মরদেহ উদ্ধারের ঘটনার ১০ দিন পর হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। প্রতিবন্ধী কিশোরী ধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদ করায় তাকে হত্যা করা হয় বলে পুলিশ জানিয়েছে।
এ ঘটনায় চান্দিনার গ্রামের বাখরাবাদের মোয়াজ্জেম হোসেন (২৫) এবং অটোরিকশাচালক নাওতলা গ্রামের সানাউল্লাহকে (২৪) আটক করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেন জেলা পুলিশ সুপার সৈয়দ মো. নুরুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ২২ জানুয়ারি চান্দিনা এলাকা থেকে মোয়াজ্জেম নামে একজনকে আটক করে পুলিশ। তার দেওয়া তথ্যমতে সানাউল্লাহকে আটক করা হয়।
সূত্রে জানা যায়- সানাউল্লাহ গত ৭ জানুয়ারি রাতে ১৫ বছর বয়সী এক প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণ করে। গত ১২ জানুয়ারি বিকালে নাছিরের দোকানে আসলে কেন প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণ করলো, ধর্ষণ করে কীভাবে এলাকায় ঘুরছে এমন প্রশ্ন করলে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে সানাউল্লাহ। এ সময় তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়।
সানাউল্লাহ রাতে মোয়াজ্জেম নামে অপর একজন অটোরিকশা চালককে সঙ্গে নিয়ে প্রতিশোধ নিতে আসে।
এ সময় নাছিরের দোকানের লাইট নেভায় মোয়াজ্জেম। পরে তাকে বটি দা দিয়ে কোপ দেয় সানাউল্লাহ। নাছির জীবন বাঁচাতে দৌঁড়ে পাশের মহাসড়ক পারাপারের সময় গাড়ির চাকায় পিষ্ট হয়ে নিহত হয়।
প্রসঙ্গত, ১২ জানুয়ারি রাতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নাওতলা আলিম মাদ্রাসা সংলগ্ন একটি মার্কেটে নৈশপ্রহরীর কাজ করত নাওতলা গ্রামের রবিউল্লাহ। ওই মার্কেটে চা দোকানের ব্যবসা করত রবিউল্লাহর ছেলে নাছির উদ্দিন। রবিবার রাতে বাবার বদলে নৈশপ্রহরীর দায়িত্ব পালন করেন ছেলে নাছির উদ্দিন।
গত ১৩ জানুয়ারি সকালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার প্রায় দেড় কিলোমিটার এলাকা থেকে নাছিরের ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন মরদেহের অংশ উদ্ধার করে হাইওয়ে পুলিশ। নিহতের বাবা রবিউল্লাহ দাবি করেন, তার ছেলেকে খুন করা হয়েছে। প্রমাণ হিসেবে তিনি দোকানে রক্তের চিহ্ন দেখান পুলিশকে।