নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থেকে ২টি বিদেশি পিস্তল ও ১০ রাউন্ড গুলিসহ দুই অস্ত্র ও মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সোমবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) গোলাম মোস্তফা রাসেল।
গ্রেপ্তাররা হলেন-ফতুল্লার কুতুবআইল এলাকার মৃত মোবারক হোসেনের ছেলে খালিদ হাসান রবিন (৩৪) ও সিদ্ধিরগঞ্জের জালকুড়ি তালতলা এলাকার মৃত আব্দুল করিমের ছেলে ডালিম (২৮)।
এর আগে ৫ নভেম্বর ফতুল্লা থানাধীন নূরবাগ এলাকা থেকে খালিদ হাসান রবিন ও ভূঁইঘর এলাকা থেকে মো. ডালিমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, নূরবাগ (কুতুবপুর) গ্রাম থেকে খালিদ হাসান রবিনকে আটকের পর তল্লাশি করে তার কোমরের পেছন থেকে ২ রাউন্ড গুলি ভর্তি অবস্থায় একটি ৭ পয়েন্ট ৬২ বোরের বিদেশি পিস্তল, পকেট থেকে ৩২ রিভালবারের ২ রাউন্ড গুলি ও একটি গুলির খোসা জব্দ করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যমতে ফতুল্লা মডেল থানাধীন ভূঁইঘর গ্রামের সোনালী সংসদ খেলার মাঠের সামনে চাষাঢ়া থেকে সাইনবোর্ডগামী রাস্তায় ডালিমকে আটকের পর তার কাছ থেকে ৭ পয়েন্ট ৬৫ বোরের বিদেশি পিস্তল, একটি খালি ম্যাগজিন, ২ রাউন্ড ৩২ বোরের রিভালবারের গুলি, ১ রাউন্ড ৯ এমএম পিস্তলের গুলি, ৩ রাউন্ড ৩০৩ রাইফেলের গুলি জব্দ করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ও সিডিএমএস পর্যালোচনায় জানা যায়, আসামি খালিদ হাসান রবিনের বিরুদ্ধে দুইটি অস্ত্র ও ছয়টি মাদক মামলাসহ সর্বমোট ৮টি মামলা এবং অপর আসামি মো. ডালিমের বিরুদ্ধে অপহরণ ও মাদক মামলাসহ ৬টি মামলা রয়েছে। অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় আসামিদের বিরুদ্ধে ফতুল্লা থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।
এ সময় এসপি বলেন, আমরা নারায়ণগঞ্জে মাদক ও অস্ত্র নিয়ে কাজ করছি। গত পাঁচ তারিখ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রবিন নামের একজনকে বিদেশি অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করি। পরবর্তীতে তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী জসিম নামের একজনকে গ্রেপ্তার করি এবং তার কাছ থেকে আরেকটি বিদেশি পিস্তল উদ্ধার করি। তাদের কাছ থেকে দুই রাউন্ড পয়েন্ট থ্রি টু বোরের গুলি এক রাউন্ড নাইন এমএম পিস্তলের গুলি ও তিন রাউন্ড থ্রি নট থ্রি রাইফেলের গুলি উদ্ধার করি। তাদের একজনের নামে ৮টি ও আরেকজনের নামে ৬টি মামলার তথ্য আমরা পেয়েছি। তারা অস্ত্র ও মাদক কারবারি।
প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি নির্বাচনকে সামনে রেখে এ অবৈধ অস্ত্রের ব্যবহার বেড়ে যায়। এ অস্ত্র নির্বাচনের আগে ব্যবহার করে অনেকে। নির্বাচনকে সামনে রেখে ও চলমান সহিংস পরিস্থিতিতে এ অস্ত্র ব্যবহার করে কেউ যেন বিশৃঙ্খলা করতে না পারে তাই আমাদের অস্ত্র উদ্ধার অভিযান চলছে। তাদের রিমান্ডে এনে আমরা পরবর্তীতে বিস্তারিত জানাতে পারব তারা কোথা থেকে এ অস্ত্র আনে এবং কাদের সরবরাহ করে।
তিনি আরও বলেন, অনেক সময় অস্ত্র ভাড়া নেয় একজন আরেকজনের কাছ থেকে। তাদের বিরুদ্ধে যেহেতু আগের মামলা রয়েছে তাই বলা যায় ওরা অস্ত্র ও মাদক কারবারি। এদের এখনও কোনো রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা পাইনি। তবে আমরা খতিয়ে দেখছি। অনেক সময় বড় নাশকতা করতে ভাড়ায় এরা এসব কাজ করে। পরবর্তীতে রিমান্ডে এনে জানতে পারব কোনো নৈরাজ্যের সঙ্গে ওরা জড়িত কীনা।