ফেনীতে শিক্ষার্থীদের জিম্মি করে টাকা দাবির অভিযোগ ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে

ফেনী: ফেনী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট থেকে বদলি প্রার্থী ২৪ শিক্ষার্থীকে জিম্মি করে টাকা দাবির অভিযোগ উঠেছে ফেনী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ছাত্রলীগের সভাপতি হাবিবুর রহমান শিপন ও সম্পাদক নুর উদ্দিন পারভেজের বিরুদ্ধে।

সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার ফেনী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট থেকে দেশের অন্যান্য পলিটেকনিকে বদলি আবেদন করা শিক্ষার্থীরা ছাড়পত্রের জন্য এলে ছাত্রলীগের সভাপতি-সম্পাদকসহ কলেজ ছাত্রলীগের আরও কয়েকজন নেতা তাদের জিম্মি করে প্রথমে রেজিস্ট্রার রুমে, পরে শাহীন হোস্টেলে আটক করে রাখে।

বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা নেমে এলে শিক্ষার্থীদের ছাড়পত্র কেড়ে নিয়ে টাকার জন্য চাপ দিতে থাকে।
এদিকে এ খবর জানাজানি হলে গণমাধ্যমকর্মীরা পলিটেকনিক ক্যাম্পাসে গেলে কলেজ সভাপতি-সম্পাদক বিষয়টি ধামাচাপা দিতে উঠে পড়ে লাগেন।

পরে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তোফায়েল আহমেদ তপু ও সাধারণ সম্পাদক নুর করিম জাবেদের হস্তক্ষেপে রাতে জিম্মি শিক্ষার্থীদের মুক্ত করে ছাড়পত্র বুঝিয়ে দেওয়া হয়। এ ঘটনার খবরে কলেজে অবস্থিত আবাসিক ছাত্রাবাসে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
পরিস্থিতি সামাল দিতে জেলা ছাত্রলীগ তাৎক্ষণিক জিম্মি শিক্ষার্থীদের উদ্ধার করে গন্তব্যে যাওয়ার ব্যবস্থা করে দেন। জিম্মিকৃত শিক্ষার্থীদের মধ্যে ২ জন টাঙ্গাইল জেলার, ৬ জন চট্টগ্রামের, ১ জন ফরিদপুরের, ২ জন দিনাজপুরের, ৩ জন কুমিল্লার, একজন সিরাজগঞ্জের, ৩ জন কাপ্তাই উপজেলার ও একজন ঢাকা জেলার।
এরা সবাই ফেনী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।
এ বিষয়ে ফেনী জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তোফায়েল আহমেদ তপু বলেন, পলিটেকনিক ছাত্রলীগ সভাপতি ও সম্পাদকের বিরুদ্ধে এর আগেও অভিযোগ এসেছে। তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জিম্মিকৃত শিক্ষার্থীদের উদ্ধার করে যার যার গন্তব্যে যাওয়ার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে।

একই কথা বলেন জেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক নুর করিম জাবেদ। তিনি জানান, অন্যায় করলে কোন ছাড় নয়। যে ঘটনাটি ঘটেছে সেটি অবশ্যই তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অন্যদিকে ঘটনার সাথে নিজেদের সম্পৃক্ততার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পলিটেকনিক ছাত্রলীগ সভাপতি শিপন ও সাধারণ সম্পাদক পারভেজ। তারা দুজন নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন।

জানতে চাইলে ফেনী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট অধ্যক্ষ প্রকৌশলী প্রদীপ্ত খীসা বলেন, ছাড়পত্রের জন্য শিক্ষার্থীরা আবেদন করলে ২৪ জনের হাতে ছাড়পত্র বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে শিক্ষার্থীদের জিম্মি করার ব্যাপারে তিনি কিছু জানেন না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *