বগুড়া ধুনট উপজেলায় জমিজমা নিয়ে বিরোধে বাড়িঘর ভাঙচুরের ঘটনায় চিকাশি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আলেপ বাদশাসহ ২৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় আটক হয়েছেন ছয় জন।
মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) বিকেলে উপজেলার সুলতানহাটা গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক নাহিদ হাসান ভোলা বাদী হয়ে ধুনট থানায় মামলা করেন।
আটকরা হলেন- উপজেলার বড়বিলা গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে রাকিবুল হাসান (১৮), মাসুদুল হক বাচ্চুর ছেলে সাগর হোসেন (৩৫), সুলতানহাটা গ্রামের মোকলেছার রহমানের স্ত্রী কবরী বেগম (৪০), মিজানুর রহমানের স্ত্রী জেসমিন বেগম (২৯), আরিফুল ইসলামের স্ত্রী রেশমা বেগম (৩৫) ও মজিবর রহমানের স্ত্রী জেসমিন বেগম (৩২)।
এর আগে মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) সকাল ১০টার দিকে সুলতানহাটা গ্রামে জমিজমা নিয়ে বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের লোকজন হামলা চালিয়ে তিন কৃষকের বাড়িঘর ভাঙচুর করে। এতে স্বামী-স্ত্রীসহ পাঁচ জন আহত হয়েছেন।
আহতরা হলেন- সুলতান হাটা গ্রামের মোতাহার সরকারের ছেলে খোদা বক্স (৫০), আলা বক্সের স্ত্রী মোর্শেদা খাতুন (৩০), তার ছেলে মেহেদী হাসান (১০), বুলবুল হোসেনের স্ত্রী আদুরী খাতুন (২৫) ও মীর বক্সের স্ত্রী রাহেনা খাতুন (৩৫)। আহতরা ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
মামলা ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার সুলতান হাটা গ্রামের মোতাহার সরকারের ছেলে খোদা বক্স, আলা বক্স, মীর বক্স ও নাহিদ হাসানের সঙ্গে একই গ্রামের তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে আরিফুল ইসলামের জমিজমা নিয়ে বিরোধ রয়েছে। এ বিরোধের জের ধরে মঙ্গলবার সকালে আরিফুল ইসলাম তার লোকজন নিয়ে মীর বক্সের বাড়িতে হামলা চালায়। তারা খোদা বক্স, আলা বক্স ও মীর বক্সের চারটি বসতঘর ও আসবাবপত্র ভাঙচুর করেছে। এতে প্রায় পাঁচ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। ঘটনার পর ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক পরিবারের লোকজন খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবন যাপন করছে।
ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেন বলেন, সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয় এবং এ ঘটনায় ছয় জনকে আটক করা হয়েছে।