দুই সপ্তাহের ব্যবধানে মুন্সিগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে পদ্মাসেতুর ১৭ ও ১৮ নম্বর পিলারে স্থায়ীভাবে বসতে চলেছে ১৮তম ‘৩-ই’ স্প্যান। স্প্যানটি সফলভাবে স্থাপনের মাধ্যমে দৃশ্যমান হবে সেতুর ২ হাজার ৭০০ মিটার অবকাঠামো।
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) সকাল ১০টার দিকে স্প্যান বসানোর জন্য দেশি-বিদেশি প্রকৌশলীরা মাওয়া কুমারভোগ কন্সট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে তিন হাজার ৬০০ টন ধারণ ক্ষমতার ‘তিয়ান ই’ ভাসমান ক্রেনে করে বহন করে নিয়ে যাবেন। ধূসর রংয়ের ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের ৩ হাজার ১৪০ টন ওজনের স্প্যানটি হবে পদ্মার বুকে বসতে যাওয়া ১৮তম স্প্যান।
পদ্মাসেতুর প্রকৌশল সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
প্রকৌশলীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আবহাওয়াসহ সবকিছু অনুকূলে থাকলে ৪-৫ ঘণ্টার মধ্যেই ১৮তম স্প্যানটি বসানো সম্ভব হবে। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মুন্সীগঞ্জের মাওয়া কুমারভোগ কন্সট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে ধূসর রঙয়ের ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের ৩ হাজার ১৪০ টন ওজনের স্প্যানটিকে তিন হাজার ৬০০ টন ধারণ ক্ষমতার ‘তিয়ান ই’ ভাসমান ক্রেন বহন করে নিয়ে যাবে। এরপর পিলারের উচ্চতায় উঠিয়ে বসানোর কাজ শুরু হবে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে দুপুর ২টার মধ্যেই স্প্যান বসানোর কার্যক্রম শেষ হবে বলে মনে করছেন প্রকৌশলীরা।
জানা যায়, পদ্মাসেতুতে ৪২টি পিলারের ওপর বসবে ৪১টি স্প্যান। দেশে আসা ৩৩টি স্প্যানের মধ্যে ১৭টি বসানো হয়েছে। প্রস্তুত আছে ৫টি ও বাকি আছে ১১টি স্প্যান। পুরো সেতুতে ২ হাজার ৯৩১টি রোডওয়ে স্ল্যাব বসানো হবে। আর রেলওয়ে স্ল্যাব বসানো হবে ২ হাজার ৯৫৯টি। মূল সেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) ও নদীশাসনের কাজ করছে দেশটির আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন। ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ বহুমুখী সেতুর মূল আকৃতি হবে দোতলা। কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হচ্ছে এ সেতুর কাঠামো। দুই দফা প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) সংশোধনের পর ব্যয় দাঁড়িয়েছে ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা।