বাগেরহাট: বাগেরহাটে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে বিকাশ এজেন্ট মো. রমজানের (২৫) কাছ থেকে ৭ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগে দুই কারারক্ষীকে আটক করেছে পুলিশ।
শনিবার (৪ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে বাগেরহাট সদর উপজেলার বাদেকাড়া পাড়া গ্রামে এই ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, টাকা ছিনতাইয়ের সময় প্রসাদ সরদার নামের এক কারারক্ষীকে আটক করেন স্থানীয়রা। পরে পুলিশ মনিরুল ইসলাম নামে আরও এক ছিনতাইকারীকে আটক করেন।
তবে টাকা নিয়ে পালিয়ে যাওয়া অপর ছিনতাইকারীর পরিচয় শনাক্ত হলেও, আটক করতে পারেনি পুলিশ।
আটকরা হলেন- যশোর জেলার কেশবপুর উপজেলার আছির সরদার ছেলে প্রসাদ সরদার (৩২) এবং চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার ফকিরপাড়া গ্রামের হেলালের ছেলে মনিরুল ইসলাম (৩০)।
আটক দুইজনই বাগেরহাট জেলা কারাগারের কারারক্ষী।
ছিনতাইয়ের কবলে পড়া বিকাশ এজেন্ট মো. রমজান বলেন, শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে দশানীমোড়ের দোকান বন্ধ করে মোটরসাইকেল চালিয়ে বাড়িতে রওনা দেই।
বাড়ির গেটে পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গে আমাকে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা আছে বলে হ্যান্ডকাফ লাগানোর চেষ্টা করে এবং আমার কাছে থাকা টাকা ও মোবাইল ফোনের ব্যাগ ছিনিয়ে নেয়। একপর্যায়ে আমি ডাকচিৎকার দিলে তারা মোবাইল ও টাকা ভর্তি ব্যাগ নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। আমি দৌড়ে মোটরসাইকেলসহ মনিরুল ইসলাম ধরতে সক্ষম হই। পরে এলাকার লোকজনও চলে আসে। তবে আমার ব্যাগে থাকা প্রায় ৭ লাখ টাকা ছিনিয়ে নেয়। আমি, আমার টাকা ফেরত চাই।
রমজানের প্রতিবেশী শেখ বোরহান উদ্দিন বলেন, রমজান ডাকচিৎকার দিলে আমরা সবাই বের হয়ে আসি। পরে মনিরুল ইসলাম নামে এক ছিনতাইকারীকে আটক করে বেঁধে ফেলি। পরে পুলিশকে খবর দিলে তারা এসে থানায় নিয়ে যায়। আমরা এই ছিনতাইকারীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
বাগেরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মাসুদ রানা বলেন, ছিনতাইয়ের সময় স্থানীয়দের হাতে আটক মনিরুলের তথ্য অনুযায়ী প্রসাদ সরদারকে আটক করেছি। পরে দুইজনকে নিয়ে অভিযান চালিয়ে একটি সুপারি বাগান থেকে টাকা ও ছয়টি মুঠোফোন জব্দ করা হয়েছে। তাদের সঙ্গে থাকা অপর ছিনতাইকারীকেও শনাক্ত করা হয়েছে। তাকে আটক ও টাকা উদ্ধারের জন্য পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
আটককৃতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে আদালতে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে বলে জানান এই কর্মকর্তা।
বাগেরহাটের জেল সুপার শঙ্কর কুমার মজুমদার বলেন, মনিরুল ও প্রসাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ রয়েছে। আটকের খবরটি আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি। মামলা হলে তাদেরকে সাময়িক বরখাস্ত করা হবে।