সাতক্ষীরার শ্যামনগরে তিন দিন নিখোঁজের পর ধানক্ষেত থেকে কলেজছাত্রী মরিয়মের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় তার প্রেমিক সুব্রত মন্ডলকে (২৪) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বিয়ের জন্য চাপ দেওয়ায় মরিয়মকে ধর্ষণের পর তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে বলে স্বীকার করেছে সুব্রত। রবিবার (১২ জানুয়ারি) দুপুরে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ তথ্য জানান।
এর আগে শনিবার রাতে ভুরুলিয়া ইউনিয়নের কাচড়াহাটি গ্রামের পরিমল মন্ডলের ছেলে সুব্রত মন্ডলকে (২৪) নিজবাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয় বলে তিনি জানান।
এদিকে, নিহত মরিয়ম খাতুন (২১) ভুরুলিয়া ইউনিয়নের বল্লভপুর গ্রামের আব্দুল কাদেরের মেয়ে ও শ্যামনগর মহসিন ডিগ্রি কলেজের ছাত্রী।
পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, মরিয়ম ও সুব্রতের মধ্যে ২ বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক চলছিল। গত দুই মাস ধরে সুব্রতকে বিয়ের জন্য বলতে থাকে মরিয়ম। বিয়ে না করলে সে সুব্রতের বাড়িতে ওঠবে বলেও জানায় সে। এর জেরে সুব্রত হত্যার পরিকল্পনা করে মরিয়মকে।
গত ৭ জানুয়ারি সন্ধ্যায় সুব্রত মোবাইলে মরিয়মকে ডেকে বিলের মধ্যে নিয়ে যায়। সেখানে তাদের কথাবার্তা শেষে মরিয়মকে বাড়ি ফিরে যেতে বললে সে অস্বীকৃতি জানায় এবং তাকে নিয়ে পালিয়ে যেতে বলে। এরপর সুব্রত উত্তেজিত হয়ে সেখানে তাকে ধর্ষণের পর গলায় ওড়না পেঁচিয়ে হত্যা করে।
পুলিশ সুপার আরও বলেন, ‘গত শুক্রবার ১০ জানুয়ারি সকালে ভুরুলিয়া ইউনিয়নের বল্লভপুর গ্রামের একটি বিলের মধ্যে থেকে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে। এর আগে মরিয়ম তিন দিন আগে কাউকে কিছু না বলে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। সেখান থেকে সে নিখোঁজ ছিল।
এ ঘটনায় শ্যামনগর থানায় তার বাবা একটি সাধারণ ডায়রি করেন। এরপর শুক্রবার সকালে স্থানীয়দের দেওয়া খবরের ভিত্তিতে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের ভাই মোহাম্মদ আলী শ্যামনগর থানায় একটি মামলা করেন।
প্রেস ব্রিফিংয়ে এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (কালিগঞ্জ সার্কেল) জামিরুল ইসলাম ও শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হুদা।