এবি ব্যাংকের পরিচালকেরা নিজ ব্যাংক থেকে সবচেয়ে বেশি ঋণ নিয়েছেন। এই ব্যাংকটির পরিচালকদের ঋণের পরিমাণ ৯০৭ কোটি ৪৭ লাখ ৮২ হাজার টাকা। এর পরেই রয়েছে বেসরকারি ব্র্যাক ব্যাংক। ব্যাংকটির পরিচালকদের কাছে এই ব্যাংকের পাওনা ৩৬২ কোটি ৫০ লাখ ৬৪ হাজার টাকা। এদিকে, ইসলামী ব্যাংকের পরিচালকদের কাছে নিজ ব্যাংকের কোনও পাওনা না থাকলেও অন্য ব্যাংকের পরিচালকদের কাছে সবচেয়ে বেশি পাওনা রয়েছে। অন্য ব্যাংকের পরিচালকদের কাছে ইসলামী ব্যাংকের পাওনা ১৯ হাজার ১৭৫ কোটি ৭৪ লাখ ৪০ হাজার টাকা। বেসরকারি এক্সিম ব্যাংকের পরিচালকদের কাছে নিজ ব্যাংকের কোনও পাওয়া নেই। কিন্তু অন্য ব্যাংকের পরিচালকদের কাছে এক্সিম ব্যাংকের পাওনা ১০ হাজার ৫১৩ কোটি ৬৫ লাখ ৭৬ হাজার টাকা। এটি ব্যাংকটির মোট পাওনার ২৫ দশমিক ৫৩ শতাংশ।
রাষ্ট্রায়ত্ত জনতা ব্যাংক অন্য ব্যাংকের পরিচালকদের কাছে পাবে ১০ হাজার ১২৬ কোটি ৭২ লাখ ৫ হাজার টাকা। এটি ব্যাংকটির বর্তমান ঋণ স্থিতির ১৬ দশমিক ১৮ শতাংশ। রাষ্ট্রায়ত্ত পূবালী ব্যাংকের মোট ঋণের পরিমাণ এক-চতুর্থাংশই অন্যান্য ব্যাংকের পরিচালকদের কাছে। ব্যাংকটির বর্তমানে ঋণ স্থিতি রয়েছে ২৬ হাজার ৪১১ কোটি ৬৭ লাখ এক হাজার টাকা। এরমধ্যে অন্য ব্যাংকের পরিচালকদের কাছে পাওনা ৯ হাজার ৭৩৫ কোটি ৫২ লাখ ৭৪ হাজার টাকা।
আহসানুল ইসলামের অন্য এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী জানান, বিভিন্ন কোম্পানির কাছে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৯৬ হাজার ৯৮৬ কোটি ৩৮ লাখ টাকা। প্রতিষ্ঠানগুলোর পরিশোধিত ঋণের পরিমাণ ২৫ হাজার ৮৩৬ কোটি ৪ লাখ টাকা।
অর্থমন্ত্রীর তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, ঋণখেলাপি কোম্পানির মধ্যে ৫০ শতাংশের বেশি কোম্পানি থেকে কোনও অর্থ আদায় করা যায়নি। মোট খেলাপি আট হাজার ২৩৮টি কোম্পানির মধ্যে চার হাজার ১৯৮টি প্রতিষ্ঠান থেকে কোনও অর্থ আদায় হয়নি।
বিএনপির হারুনুর রশীদের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘২০১৯-২০২০ অর্থবছরে ব্যাংক থেকে সরকারের ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ৪৭ হাজার ৩৬৪ কোটি টাকা। ২০১৯ সালের জুন থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে সরকার বাংলাদেশ ব্যাংক ও তফসিলি ব্যাংক থেকে ৪৮ হাজার ৫৮৩ কোটি ১১ লাখ টাকা নিট ঋণ নিয়েছে।’
সরকারি দলের গাজী মোহাম্মদ শাহনওয়াজের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আগের বছরের তুলনায় ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে রেমিট্যান্স ৯ দশমিক ৬ শতাংশ বেড়েছে।’
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘চলতি ২০১৯-২০২০ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে প্রাপ্ত রেমিট্যান্সের পরিমাণ ছিল ৯৪০ কোটি ডলার।’ যা গত অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসের তুলনায় ২৫ দশমিক ৪৬ শতাংশ বেশি বলেও তিনি উল্লেখ করেন।