রাজশাহীর বাঘা উপজেলায় কোয়ারেন্টিনে থাকা অবস্থায় তাবলীগ জামাতের এক সদস্য মারা গেছেন। তার নাম আবুল কালাম আজাদ (৬২)। তিনি ৪০ দিনের তাবলীগের চিল্লা শেষে ফিরে গ্রামেরই একটি মাদ্রাসায় কোয়ারেন্টিনে ছিলেন। তার বাড়ি উপজেলার উত্তর মিলিকবাঘা গ্রামে।
বুধবার (৮ এপ্রিল) ভোরে তার মৃত্যু হয়।
স্থানীয়রা জানান, আবুল কালাম আজাদ তাবলীগ জামাতের সদস্য ছিলেন। কিছুদিন আগে তিনি তাবলীগ জামাত দলের সঙ্গে ৪০ দিনের চিল্লায় কুষ্টিয়া যান। চিল্লা শেষে তিনি গত ৫ এপ্রিল রাজশাহীর বাঘায় নিজ গ্রামে ফেরেন।
এরপর থেকে তিনি একটি মাদ্রাসায় কোয়ারেন্টিনে ছিলেন। তিনি অসুস্থ হয়েছিলেন কিনা, তা কেউ নিশ্চিত করে জানতে পারেননি। হঠাৎ বুধবার ভোরে তার মৃত্যু হয়। তার মৃত্যুতে গ্রামে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। করোনায় মৃত্যু হয়েছে সন্দেহে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা তার মরদেহের কাছে কেউ যাননি। পরে দাফনের ব্যবস্থা করা হয়।
তবে রাজশাহী বাজুবাঘা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান খন্দকার মনিরুল ইসলাম জানান, আবুল কালাম আজাদের চিল্লার জন্য আরও কিছুদিন অবশিষ্ট ছিল। এ দিনগুলো পূরণের জন্য মাদ্রাসার একটি কক্ষে অবস্থান নিয়ে তাবলীগ জামাতেরই কাজ করছিলেন বলে শুনেছেন। মঙ্গলবারও (৭ এপ্রিল) তিনি তার বাসার লোকজনের সঙ্গে দেখা করে এসেছেন। তবে তার উচ্চরক্তচাপসহ বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন অসুখ ছিল।
রাজশাহীর বাঘা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহীন রেজার দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি জানান, ঘটনা জানার পর তিনি খোঁজ-খবর নিচ্ছেন। পরে বিস্তারিত বলতে পারবেন।
রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. সাইফুল ফেরদৌস জানান, ঘটনা জানার পর করোনা পরীক্ষার জন্য মৃত ব্যক্তির নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। পরীক্ষার পর নিশ্চিত হওয়া যাবে তিনি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ছিলেন কিনা। এর আগে তার মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে আপাতত আর কিছু বলা যাচ্ছে না।