কৃত্রিম সংকট তৈরি করে ফেস মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার বেশি দামে বিক্রি করার অভিযোগ পেয়ে অভিযানে নেমেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। সোমবার (৯ মার্চ) প্রথম দিন রাজধানীর ফার্মগেট ও গুলশান এলাকায় অভিযান চালানো হয়।
অভিযানে ফার্মগেট এলাকার একটি ফার্মেসিকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। সুনান নামের আরেক ফার্মেসিকে সাময়িক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে গুলশান এলাকায় মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার বেশি দামে বিক্রি করায় দুটি ফার্মেসিকে সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের ঢাকা জেলা অফিস জানায়, কৃত্রিম সংকট দেখিয়ে মাস্কের দাম বেশি রাখায় ফার্মগেট এলাকার কয়েকটি ফার্মেসিকে অর্থদণ্ডসহ একটিকে সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। অভিযানে তেজগাঁও থানা পুলিশ সার্বিক সহায়তা দেয়। জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
ঢাকা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আব্দুল জব্বার মন্ডল বলেন, একটি ফার্মেসিকে জরিমানা করা হয়েছে। সুনান ফার্মেসিকে সাময়িক বন্ধ করেছি। তাদের আগামীকাল আমাদের কার্যালয়ে শুনানিতে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দিতে হবে অতিরিক্ত দাম রাখার। দিতে না পারলে স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেওয়া হবে।
গুলশান এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের উপপরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার। অভিযানে আল নূর ফার্মেসি ও সাফাবি ফার্মেসিকে সিলগালা করে দেওয়া হয় বলে জানান তিনি। এছাড়া মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রির দায়ে আল মদিনা ফার্মেসিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর নজর রাখি। তারা দেশি-বিদেশি বিভিন্ন ক্রেতার কাছে মাস্কের দাম বেশি রাখে। এসব তথ্য আমরা ভিডিওতে ধারণ করেছি। পরে আমরা যখন তাদের কাছে মাস্ক কিনতে যাই তখন প্রতিষ্ঠানগুলো বলে, তাদের কাছে মাস্ক নেই। অথচ এর আগে তারা বেশি দামে মাস্ক বিক্রি করেছে, যার প্রমাণ অধিদফতরের কাছে রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, জাতির এ ক্রান্তিকালে অনৈতিকভাবে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে মাস্কের দাম বেশি নেওয়া আইনত দণ্ডনীয়। এ অপরাধে প্রতিষ্ঠান দুটিকে সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে।