মেয়েকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় বাবাকে কুপিয়ে জখম

রাজবাড়ী সদরের আলীপুরে স্কুলপড়ুয়া মেয়েকে উত্যক্ত করার প্রতিবাদ করায় রিপন খোন্দকার (৪০) নামে এক বাবাকে কুপিয়ে জখমের অভিযোগ পাওয়া গেছে। তিনি রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। অভিযুক্তরা এখন মেয়েটির পরিবারের অন্য সদস্যদেরও হুমকি দিচ্ছে। মেয়েটি ভয়ে স্কুলে যেতে পারছে না। ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে ওই মেয়েটিকে উত্যক্ত করে আসছে স্থানীয় কিছু বখাটে যুবক। এর প্রতিবাদ করায় গত ২০ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ১২টার দিকে আলীপুর এলাকায় মেয়েটির বাবাকে কুপিয়ে আহত করে তারা। শরীরে একাধিক সেলাইয়ের যন্ত্রণা নিয়ে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে দিন কাটছে ওই বাবার। এদিকে, বাবার যন্ত্রণা আর বখাটেদের ভয়ে বন্ধ হয়ে গেছে মেয়েটির লেখাপড়া।

রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, রিপন খোন্দকার ডান হাতে একাধিক সেলাই করা হয়েছে। যন্ত্রণায় চোখ দিয়ে পানি পড়ছে তার। পাশে বসে তার মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে মেয়েটি। ছোট ছেলেশিশুকে নিয়ে আতঙ্কে আছে রিপনের স্ত্রী মরিয়ম বেগমও।

আহত রিপন বলেন,‘প্রায় বছর খানেক আগে থেকেই গ্রামের কিছু বখাটে ছেলে আমার মেয়েকে নানাভাবে বিরক্ত করে আসছে। তাদের ভয়ে মেয়েটির লেখাপড়া বন্ধ হয়ে গেছে। গত ২০ ফেব্রুয়ারি রাত ১২টার দিকে আমার বাড়ির পাশে সাউন্ড বক্স নিয়ে প্রচণ্ড সাউন্ডে গান বাজাতে থাকে। এ সময় আমি তাদের নিষেধ করলে আমার ওপর ক্ষিপ্ত হয় এবং কুপিয়ে জখম করে।’

একই অভিযোগ করেন রিপনের স্ত্রী মরিয়মও। তিনি বখাটেদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চান।

মেয়েটি জানায়, অনেক দিন ধরে কিছু বখাটে যুবক তাকে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছে। তাদের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় বাবাকে এভাবে কোপানো হয়েছে।

রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. রবিউল আজম জানান, রোগীর ডান হাতে যখম ছিল। সেলাই করে হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়েছে।

আলীপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. শওকত হাসান বলেন, ‘আমি বিষয়টি শুনেছি। খোঁজ নিয়ে দেখবো।’

রাজবাড়ী সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) স্বপন কুমার মজুমদার জানান,ওই দিন রাতে সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ বিষয়ে বিস্তারিত খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। বিষয়টি তদন্তাধীন। পুলিশ অসহায় মানুষের পাশে আছে। সাধারণ মানুষের জানমাল রক্ষা ও নিরাপত্তায় পুলিশ সব সময় প্রস্তুত আছে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *