মহামান্য রাষ্ট্রপতিকে সুপ্রিম মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সংবিধান অনুযায়ী মহামান্য রাষ্ট্রপতির কাজে আদালতে প্রশ্ন উত্থাপন করা যায় না।
শনিবার (০৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আয়োজিত ‘জাতীয় বিচার বিভাগীয় সম্মেলন-২০১৯’ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৫৫ (৬) এর ক্ষমতাবলে মহামান্য রাষ্ট্রপতি সরকারের কার্যাবলী বণ্টন এবং পরিচালনার জন্য বিধানসমূহ প্রণয়ন করে থাকেন। মহামান্য রাষ্ট্রপতি কর্তৃক Warrant of Precedence প্রণয়ন করা হয়ে থাকে এবং এতে যেকোনো পরিবর্তন আনার এখতিয়ার একমাত্র মহামান্য রাষ্ট্রপতির।
‘সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৫১ (১) এবং ৫৫ (৫) অনুযায়ী মহামান্য রাষ্ট্রপতির কার্যক্রমের বিষয়ে আদালতে কোনো প্রশ্ন উত্থাপন করা যায় না। কিন্তু প্রায়শই মহামান্য রাষ্ট্রপতির এখতিয়ারাধীন বিষয়ে আদালতের আদেশ প্রণয়নের বিষয় লক্ষ করা যায়।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যেটা আমি মনে করি আসলে… একটা রাষ্ট্র পরিচালনায় তিনটি অঙ্গ থাকে, আইন সভা, বিচার বিভাগ এবং নির্বাহী বিভাগ। কিন্তু মহামান্য রাষ্ট্রপতি হচ্ছে সুপ্রিম। এই যে একটা সমন্বয় এটা হওয়া দরকার। একের কাজে আরেক জনের যদি হস্তক্ষেপ করা হয় তাহলে রাষ্ট্র পরিচালনা বা ন্যায় বিচার বা শান্তি বা উন্নয়ন করা বেশ কষ্ট হয়ে যায়।
রাষ্ট্রের তিনটি অঙ্গের মধ্যে সমন্বয় অপরিহার্য উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি সব সময় এটা মনে করি যে একটি রাষ্ট্র পরিচালনা করতে গেলে আইনসভা, বিচার বিভাগ, নির্বাহী বিভাগ- এই তিনটি অঙ্গ রাষ্ট্রের জন্য অপরিহার্য।
‘এই তিনটি অঙ্গই চলবে তাদের নিজস্ব আইন দ্বারা, নীতি দ্বারা চলবে। এটা ঠিক। আবার তিনটি অঙ্গের মধ্যে একটি সমন্বয়ও থাকতে হবে। যা দেশকে শান্তি ও উন্নয়নের পথে এগিয়ে নিয়ে যাবে। যেটা একান্তভাবে মানুষের ন্যায়বিচার পাওয়া এবং উন্নয়নের জন্য একান্তভাবে অপরিহার্য বলে আমি বিশ্বাস করি।’
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক প্রমুখ।