ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার মো. মজনুর বিরুদ্ধে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (০৯ জানুয়ারি) দুপুরে তাকে আদালতে হাজির করা হয়। রিমান্ড আবেদন করেন ডিবি পুলিশের পরিদর্শক আবু সিদ্দিক।
ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সারাফুজ্জামানের আদালতে এ রিমান্ড আবেদনের শুনানি হতে পারে।
এর আগে মঙ্গলবার দিনগত রাতে (০৭ জানুয়ারি) রাজধানীর বিমানবন্দর সড়ক এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। পরে ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রীকে ছবি দেখালে ধর্ষক মজনুকে শনাক্ত করেন তিনি।
পরে বুধবার (০৮ জানুয়ারি) মজনুকে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) হাতে তুলে দেয় র্যাব। ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রীর বাবা ঘটনার রাতেই ক্যান্টনমেন্ট থানায় একটি অভিযোগ করেন। যাচাই-বাছাই শেষে পরদিন অর্থাৎ মঙ্গলবার অভিযোগটি মামলা হিসেবে গ্রহণ করা হয়। ওইদিন আদালত মামলার বিষয়ে আগামী ২৮ জানুয়ারির মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন। পরে মামলাটি ডিবিতে হস্তান্তর করা হয়।
গত ৫ জানুয়ারি সন্ধ্যায় কুর্মিটোলা বাসস্টপেজে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস থেকে নামার পর ওই ছাত্রীকে মুখ চেপে পার্শ্ববর্তী একটি স্থানে নিয়ে যায় অজ্ঞাত ব্যক্তি। সেখানে তাকে অজ্ঞান করে ধর্ষণ ও শারীরিক নির্যাতন করা হয়। পরে ১০টার দিকে তার জ্ঞান ফিরলে তিনি নিজেকে নির্জন স্থানে অবিষ্কার করেন।
সেখান থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় নিজ গন্তব্যে পৌঁছালে রাত ১২টার পর তাকে ঢামেক জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়। বৃহস্পতিবার তাকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়।
এদিকে ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় উত্তাল হয়ে ওঠেছে ঢাবি ক্যাম্পাস। ঘটনার পর থেকেই শাহবাগ মোড় অবরোধসহ ক্যাম্পাসে নানা কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষার্থীরা। ধর্ষকের বিচার দাবিতে এক হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ, ডাকসু, সাধারণ ছাত্র অধিকার পরিষদ ও বিভিন্ন বাম সংগঠনগুলো।