ঢাকা: রাজধানীর সেগুনবাগিচায় বিএনপির নেতা-কর্মী ও পুলিশের সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে আহত সাংবাদিক রফিক ভূঁইয়া মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
রোববার (২৯ অক্টোবর) ভোরে একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
তার মরদেহ এখন শমরিতা হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
চিকিৎসকরা জানান, রফিক ভূঁইয়ার মাথায় মারাত্মক আঘাত লাগে।
এতে তার ব্যাপক রক্তক্ষরণ হয়েছে। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
শমরিতা হাসপাতালের গ্রাহকসেবা কেন্দ্রের কর্মকর্তা আরাফাত জানান, রফিক ভূঁইয়া নামের এক সাংবাদিককে সকাল ৭টা ৪৪ মিনিটে হাসপাতালের মর্গে আনা হয়েছে। তাকে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস ও হাসপাতাল থেকে এখানে আনা হয়।
জানা যায়, শনিবার দুপুরের দিকে রাজধানীর মাদারটেকের বাসা থেকে রিকশায় করে ব্যক্তিগত কাজে প্রেসক্লাবে যাচ্ছিলেন সাংবাদিক রফিক ভূঁইয়া। পথে সেগুনবাগিচা এলাকায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের পুরোনো ভবনের কাছে পৌঁছালে বিএনপি নেতাকর্মী ও পুলিশের সংঘর্ষের মাঝে পড়েন। এসময় রিকশা থেকে উল্টে রাস্তায় ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হন। তাকে তখন হাসপাতালে নেওয়া হয়।
জানা গেছে, প্রবীণ সাংবাদিক রফিক ভূঁইয়া সাংবাদিকতা শুরু করেন চট্টগ্রাম থেকে। সেখানে দৈনিক সমাচারের প্রতিনিধি ছিলেন। এরপর ঢাকায় এসেও বিভিন্ন সংবাদপত্রে কাজ করেছেন। নিজেও একাধিক সংবাদপত্র প্রকাশনার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। দীর্ঘদিন কানাডা প্রবাসী থাকাকালীন সেখানেও সংবাদপত্র প্রকাশ করেন।
রফিক ভূঁইয়ার ডিইউজে ও জাতীয় প্রেস ক্লাবের স্থায়ী ও সিনিয়র সদস্য ছিলেন।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, রফিক ভূঁইয়ার বিদেশে অবস্থানরত দুই ছেলে দেশে আসার পথে রয়েছেন। তারা ফেরার পর দাফন করা হবে।
তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন ও সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত।
রফিক ভূঁইয়ার জন্ম ফেনীর দাগনভূঁইয়ায় ১৯৫১ সালে। দুটি সংসারে ছেলে-মেয়ে ছাড়াও অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন ও শুভানুধ্যায়ী রেখে গেছেন। রফিক ভূঁইয়ার মৃত্যুতে সাংবাদিকদের বিভিন্ন সংগঠন ও নেতারা শোক জানিয়েছে।