ভোলায় সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনায় গ্রেফতার আদনান রহমান নাবিলকে (নাবিল হায়দার) জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (২ এপ্রিল) পুলিশ তাকে ভোলার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সুলতান মাহমুদের আদালতে উপস্থাপন করলে আদালত এ নির্দেশ দেন।
আদালতের জিআরও মিলন হোসেন জানান, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বোরহানউদ্দিন থানার (এসআই) দেলোয়ার হোসেন আসামিকে আদালতে উপস্থাপন করে পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। আগামী অফিস খোলার তারিখে রিমান্ডের শুনানির তারিখ ঘোষণা করে আদালত নাবিলকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
ভোলার পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার জানান, সাংবাদিক নির্যাতনকারী নাবিলকে সুনির্দিষ্ট মামলায় বুধবার বোরহানউদ্দিন উপজেলা সদরের নিজ বাসা থেকে গ্রেফতারের পর পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বৃহস্পতিবার সকালে আদালতে সোপর্দ করা হয়।
তিনি আরও জানান, সাংবাদিক সাগর চৌধুরী এ ঘটনায় আদনান ও অজ্ঞাত পাঁচজনকে আসামি করে মামলা করেছেন। মামলার অজ্ঞাত আসামিদেরও গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।
প্রসঙ্গত, ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও বড় মানিকা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে জেলেদের জন্য আসা চাল চুরির অভিযোগ করেন সাংবাদিক সাগর চৌধুরী। এর পর তার ওপর বর্বর হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে জসিম উদ্দিনের ছেলে নাবিল হায়দারের বিরুদ্ধে। ক্ষোভ মেটাতে ওই সাংবাদিককে মোবাইল চোর ও ছিনতাইকারী অপবাদ দিয়ে পেটানো হয়। পরে নির্যাতনের ঘটনার একটি ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়। এরপর ওই সাংবাদিকের বক্তব্যের একটি ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। মঙ্গলবার (৩১ মার্চ) সকালে উপজেলা সদরের রাজমনি সিনেমা হলের সামনে নির্যাতনের এ ঘটনা ঘটে। তবে হামলার ঘটনায় নাবিল ও তার বাবার কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।