ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের পোস্টার থেকে ২ হাজার ৫০০ টন বর্জ্য পাওয়া যাবে। এছাড়া ঢাকা শহরে প্রতিবছর বিভিন্ন উৎস থেকে গড়ে প্রায় দশ হাজার টনের বেশি লেমিনেটেড প্লাস্টিকের বর্জ্য উৎপন্ন হয় যা মানবস্বাস্থ্য ও পরিবেশের জন্য হুমকিস্বরূপ। মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) এক সংবাদ সম্মেলনে এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (এসডো) তাদের গবেষণায় পাওয়া এ তথ্য প্রকাশ করেছে। এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে সংস্থাটি এ তথ্য জানায়।
সংস্থাটি মাসব্যাপী অনুষ্ঠিতব্য অমর একুশে বইমেলা, অন্যান্য বাণিজ্যিক প্রদর্শনীতে লেমিনেটেড পোস্টার, লিফলেট ও স্টিকার বিতরণ নিষিদ্ধ করতে কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানিয়েছে। গবেষণা মতে, ২০১৯ সালে ঢাকায় মোট ৭ হাজার ১৪৫ দশমিক ২ টন লেমিনেটেড প্লাস্টিক বর্জ্য উৎপন্ন হয়েছে। ২০২০ সালে আনুমানিক ১০ হাজার ৪ শ’ ৩৮ টন উৎপন্ন হবে যেগুলো পুনঃপ্রক্রিয়াজাতকরণ সম্ভব নয়।
ব্রিফিংয়ে এসডো’র চেয়ারপারসন সৈয়দ মার্গুব মোর্শেদ জানান, এসডো ঢাকা শহরের সম্ভাব্য লেমিনেটেড প্লাস্টিক বর্জ্যের প্রধান ছয়টি উৎস ধরে নিয়ে তার ওপর গবেষণা চালিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে, ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচন, খবরের কাগজের সঙ্গে দেওয়া প্রচারপত্র, ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা, অমর একুশে বইমেলা, অন্যান্য বড় পরিসরের মেলা, প্রদর্শনী, রেস্তোরাঁ, বিউটি পার্লার ও অন্যান্য বাণিজ্যিক বিজ্ঞাপনে বিতরণ করা লিফলেট।
এ বছর নির্বাচনে প্রার্থীরা প্রচারণার জন্য আনুমানিক ৩০৪ মিলিয়ন প্লাস্টিক লেমিনেটেড পোস্টার ছেপেছেন। এছাড়া প্রচারণায় ব্যবহৃত স্টিকার, সাধারণ কার্ড, স্বেচ্ছাসেবকের পরিচয়পত্র তৈরিতেও লেমিনেটেড প্লাস্টিকের ব্যবহার লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ধারণা করা যায়, আসন্ন দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচন উপলক্ষে প্রচারণা শুরুর প্রায় ১২ দিনের মধ্যেই ২ হাজার ৪৭২ টন লেমিনেটেড প্লাস্টিক বর্জ্য উৎপন্ন হয়েছে।
সৈয়দ মার্গুব মোর্শেদ বলেন, পরিস্থিতির গুরুত্ব বিবেচনা করে এসডো ও অন্যান্য এনজিও প্লাস্টিক দূষণ রোধে হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে কর্তৃপক্ষ পলিথিন ব্যাগ নিষেধাজ্ঞার যথাযথ বাস্তবায়ন এবং ২০২১ সালের মধ্যে একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক বন্ধের আদেশ জারি করে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন এসডো’র প্রধান টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজার অধ্যাপক আবু জাফর মাহমুদ, এসডো’র মহাসচিব ড. শাহরিয়ার হোসেন, নির্বাহী পরিচালক সিদ্দীকা সুলতানা, নির্বাহী বিভাগীয় সদস্য শাহনাজ মনিরসহ এসডো’র অন্যান্য গবেষণা সদস্যরা।