চিকিৎসক করোনা আক্রান্ত হওয়ায় সিলেট নগরের হাউজিং এস্টেট এলাকা লকডাউন করা হয়েছে।
সোমবার (৬ এপ্রিল) সকাল থেকে নগরের চার নম্বর ওয়ার্ডের হাউজিং এস্টেট এলাকা লকডাউন করার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।
স্বাস্থ্য অধিদফতর সিলেটের সহকারী পরিচালক ডা. আনিসুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, কেবল ওই চিকিৎসকের বাড়ি নয়। পুরো হাউজিং এস্টেট এলাকা লকডাউন করা হয়েছে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এলাকার প্রধান ফটক। আপাতত এ এলাকায় কেউ ঢুকতে বা বের হতে না পারেন এজন্য প্রশাসন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
রোববার (৫ এপ্রিল) সন্ধ্যায় সিলেটে প্রথমবারের মতো করোনা আক্রান্ত রোগী হিসেবে শনাক্ত হয় এক চিকিৎসক। সিলেটের সিভিল সার্জন প্রেমানন্দ মণ্ডল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ওই চিকিৎসক প্রবাসীর দ্বারা আক্রান্ত হয়েছেন বলে কেস হিস্ট্রির তথ্যে জানতে পেরেছেন বলে জানান সিভিল সার্জন।
আক্রান্ত ওই চিকিৎসক একটি সরকারি হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ও নগরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চেম্বারে রোগী দেখতেন। তিনি নগরের অভিজাত এলাকা হাউজিং এস্টেটে বসবাস করে আসছিলেন। খবর পাওয়ার পর প্রাথমিকভাবে প্রশাসনের লোকজন তার বাসাটি লকডাউন করে। কিন্তু ওই চিকিৎসক প্রতিদিন সকাল-বিকেলে ওই এলাকা বেরিয়ে জগিং করতেন। যে কারণে অন্যান্য লোকজনের সঙ্গেও তার মেলামেশা ছিল। সে ধারণা থেকে পুরো এলাকাটি লকডাউন করা হয়েছে।
সিলেট মহানগরের এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম শাহাদাত হোসেন বলেন, যদিও আমরা মাইকিং করেছি। কিন্তু এলাকার বাসিন্দারা আতঙ্কে নিজেরাই ঘর থেকে বেরুচ্ছে না। গাড়ি চলাচল না করার জন্য ওই এলাকার প্রধান ফটক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া আমরা এমনিতেই লোকজন যাতে ঘর থেকে বের না হন, এজন্য পুলিশের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হচ্ছে।