বাংলাদেশ – ভারত সীমান্তে বাংলাদেশি নাগরিকদের অব্যাহতভাবে হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। সীমান্তে বাংলাদেশিদের কাছে যারা গরু তুলে দিচ্ছে তাদের বিচার হয় না কেন? এ প্রশ্ন তুলেছেন বক্তারা। মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে ‘শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকবৃন্দ’ ব্যানারে আয়োজিত মানববন্ধনে এ প্রতিবাদ জানানো হয়।
পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব বলেন, ‘ভারতকে বাংলাদেশের সবচেয়ে বন্ধু রাষ্ট্র বলা হয়। কিন্তু ভারতের সীমান্তবর্তী দেশগুলোর পরিসংখ্যান থেকে জানা গেছে, সবচেয়ে বেশি হত্যাকাণ্ড ঘটে বাংলাদেশ সীমান্তে। তাহলে তারা কতটা বন্ধুত্বের মর্যাদা রাখলো? বাংলাদেশের নাগরিকরা সীমান্তে অপরাধ করলে প্রচলিত আইনে তার সাজা হোক সেটি আমরাও চাই। কিন্তু বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড চাই না।’
তিনি বলেন, ‘সীমান্তে যারা গরু আনতে যায় তারা নিঃসন্দেহে অপরাধ করছে। কিন্তু তারা তো লোকের খোয়াড় থেকে গরু আনছে না। তাদের কাছে কোনও একটি চক্র গরু দিয়ে যাচ্ছে। তাহলে ওইসব চক্রদেরও কি এমন বিচার হচ্ছে? আমরা এর শান্তিপূর্ণ সমাধান চাই।’
বক্তারা বলেন, বর্তমানে সীমান্তে মানুষের আতঙ্কের নাম বিএসএফ (ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী)। কেননা তাদের গুলিতে ঘুম ভাঙে সীমান্তবর্তী এলাকার লোকজনের। প্রায় প্রতিদিন কেউ না কেউ সীমান্তে নিহত হচ্ছে কিন্তু আমাদের দেশের পক্ষ থেকে প্রতিবাদ হচ্ছে না। এমনকি ভারত থেকেও কোনও দুঃখ প্রকাশ করা হচ্ছে না।’
তারা বলেন, ‘অনুপ্রবেশের জন্য আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিচার হওয়ার কথা। কিন্তু সেখানে তারা হত্যার শিকার হচ্ছে। তাই অতি দ্রুত সীমান্ত হত্যা বন্ধসহ যাদের পরিবারের কেউ সীমান্তে হত্যার শিকার হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে তাদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হোক।’
বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের রাবি শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক মোর্শেদুল ইসলামের সঞ্চলনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন রাজশাহী প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আসলাম-উদ-দৌলা, মুক্তিযোদ্ধা নূর আলম, সোনালী সংবাদের নির্বাহী সম্পাদক মাহমুদ জামাল কাদেরী, রাকসু আন্দোলন মঞ্চের আহ্বায়ক আব্দুল মজিদ অন্তর, অর্থনীতি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মো. রানা প্রমুখ।