নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) আন্দোলনের চেয়ারম্যান চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, নিসচা আন্দোলনের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল সময়োপযোগী সড়ক পরিবহন আইনের। সেই দাবি আজ পূরণ হয়েছে। কিন্তু দুঃখের কথা, প্রয়োগের শুরুর দিন (১ নভেম্বর) থেকেই আইনটি হোঁচট খেয়েছে। এ আইন বাস্তবায়নে কোনো চাপের কাছে নতি স্বীকার করা যাবে না।
শনিবার (৩০ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে নিসচা’র ২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, আইন প্রয়োগ করে সড়কে চলমান সংকট উত্তরণে নতুন সড়ক পরিবহন আইনের যথাযথ বাস্তবায়নের বিকল্প নেই। পরিবহন সেক্টরে শৃঙ্খলা জোরদার ও দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে সুপারিশ প্রণয়নে গঠিত কমিটি যে ১১১টি সুপারিশ করেছে, তাতে এ আইন বাস্তবায়নের পথ নির্দেশনা রয়েছে। এতে পুরো সড়ক ব্যবস্থাপনা সিসিটিভি ক্যামেরায় আওয়তায় আনার কথা বলা হয়েছে। যাতে কেউ আইন ভঙ্গ না করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থার নেওয়ার শঙ্কা না থাকে।
তিনি আরও বলেন, যারা অন্যায় করবেন, তাদেরই শাস্তির আওতায় আনতে হবে। পরিবহন মালিক হোক বা শ্রমিক হোক, কারো চাপের মুখে নতি স্বীকার করা যাবে না। আইনের বাস্তবায়ন আটকে রাখা যাবে না। মানুষকে জিম্মি করে, সরকারকে বিব্রত করে যদি কেউ এই আইন বাস্তবায়ন ঠেকানোর চেষ্টা করে, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে। এটাই এখন আমাদের দাবি।
‘আমার বিরুদ্ধে নানা বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে। প্রকৃতপক্ষে আমি কারো পক্ষে বা বিপক্ষে কথা বলিনা। আমি অনিয়মের বিরুদ্ধে কথা বলি। যারাই অনিয়ম করেন, তাদের বিপক্ষে কথা বলি। কোনো চালক যদি মনে করেন, আমি তাদের বিরুদ্ধে কথা বলি, এটা দুঃখজনক।’
অনুষ্ঠানে নিরাপদ সড়ক বাস্তবায়নে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে চারজনকে সম্মাননা জানানো হয়। সম্মাননাপ্রাপ্তরা হলেন- শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের অধ্যক্ষ নূর নাহার ইয়াসমীন, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) মফিজ উদ্দিন আহম্মেদ, সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) ফয়সল মাহমুদ এবং ডিএমপির তেজগাঁও জোনের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর বিপ্লব ভৌমিক।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন নিসচা’র মহাসচিব সৈয়দ এহসান-উল হক কামাল, প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক সাদেক হোসেন বাবুল, নিসচা’র যুগ্ম মহাসচিব লিটন এরশাদ প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে নিসচা’র নিয়মিত প্রকাশনা ‘নিরাপদ’র মোড়ক উন্মোচন করা হয়।