বাংলাদেশ বর্ডার গার্ডের (বিজিবি) বিশেষ অভিযানে পঞ্চগড়ের বিভিন্ন সীমান্ত থেকে জব্দকৃত প্রায় ২২ লাখ টাকার মাদকদ্রব্য ধ্বংস করা হয়েছে।
সোমবার (২০ জুন) দুপুরে পঞ্চগড় ১৮ বিজিবি ব্যাটালিয়ন কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে রোলার মেশিনের দ্বারা এসব মাদকদ্রব্য ধ্বংস করা হয়।
বিজিবি জানায়, পঞ্চগড় ১৮ ব্যাটালিয়নের আওতাধীন ১৩৫ কিলোমিটার সীমান্ত এলাকায় ২০১৫ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০২২ সালের ৩১ মে পর্যন্ত চোরাচালান হয়ে আসার সময় বিজিবির হাতে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য জব্দ হয়। যার মধ্যে ১ হাজার ৬০৪ বোতল ভারতীয় ফেনসিডিল, ৯০০টি বিভিন্ন প্রকারের ভারতীয় অবৈধ ওষুধ ও ১ হাজার ১৭ বোতল মদ, ৯৯৫ টি বিভিন্ন প্রকারের ভারতীয় অবৈধ ইনজেকশন রয়েছে। যার আনুমানিক মূল্য ২১ লাখ ৮৮ হাজার ৮০০ টাকা। পরে সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবে এসব জব্দ করা মাদক ধ্বংস করা হয়।
এ সময় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- ঠাকুরগাঁওয়ের সেক্টর কমান্ডার কর্ণেল সোহরাব হোসেন। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- ঠাকুরগাঁও সেক্টরের পরিচালক লে. কর্ণেল জাহিদুল ইসলাম, পঞ্চগড় ১৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্ণেল মাহফুজুল হক, সহকারী পরিচালক হাচানুর রহমান, পঞ্চগড়ের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জয়শ্রী রাণী রায়, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সার্বিক) এসএম শফিকুল ইসলাম, পঞ্চগড় মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক তুষার কুমার ব্যানার্জী, পঞ্চগড় ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন ম্যানেজার তুষার কান্তি রায়সহ বিজিবির বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তারা।
ঠাকুরগাঁও বিজিবি সেক্টর কমান্ডার কর্ণেল সোহরাব হোসেন এ সময় সাংবাদিকদের বলেন, সীমান্তে চোরাচালান ও মাদকদ্রব্য পাচার রোধে নিরলসভাবে গুরুত্বপূর্ণ এ কাজটি করে যাচ্ছে বিজিবি। বাংলাদেশের বিশাল সীমান্তে চোরাচালান ও মাদকদ্রব্য পাচার রোধ করা যদিও চ্যালেঞ্জিং বিষয়। তবে বিষয়টিকে আমি পেশাগত দায়িত্বের পাশাপাশি সামাজিক দ্বায়িত্ব বলে মনে করি।
তিনি আরও বলেন, আজকের এ মাদকদ্রব্য ধ্বংসকরণ থেকে যুব সমাজকে আমরা একটা ম্যাসেজ দিতে চাই। সেটা হলো- মাদককে না বলুন, জীবনকে ভালবাসুন।