আদালত সূত্র জানায়, কুতুবপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ওই ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান গাজিউল হক গাজিকে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ইউনিয়ন ডিলার করা হয়। তিনি বয়রাকান্দি গ্রামের মৃত নজীর হোসেন সরকারের ছেলে। তিনি (গাজি) দুস্থদের মাঝে ১০ টাকা কেজি দরে ৩০ কেজি করে চাল বিক্রির জন্য ৫০০ বস্তা চাল উত্তোলন করেন। তিনি দুস্থদের চাল না দিয়ে তাদের হাতে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা দিয়ে বিদায় করছিলেন। এমন অভিযোগ পাওয়ার পর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোমবার সকালে খাদ্য কর্মকর্তা, ট্যাগ অফিসার ও পুলিশ নিয়ে কুতুবপুর বাজারে যান। সেখানে গিয়ে ২১২ বস্তা চাল পাওয়া যায়। অভিযোগ প্রসঙ্গে ডিলার গাজিউল হক গাজিকে প্রশ্ন করলে তিনি ২৮৮ জনের কাছে চাল বিক্রির একটি মাস্টার রোল দেখান। এরপর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অন্যদের নিয়ে ওইসব গ্রামে যান। মাস্টাররোলে নাম থাকা ব্যক্তিরা চাল পাওয়ার কথা অস্বীকার করেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল আমিন জানান, ডিলার গাজিউল হক গাজি তার অপরাধ স্বীকার করলে ভ্রাম্যমাণ আদালতে তাকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। ২১২ বস্তা চাল সিলগালা করে কুতুবপুর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান এমরান আলী রনির জিম্মায় দেওয়া হয়। এছাড়া তার ডিলারশিপ বাতিল করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে সারিয়াকান্দি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহাদারা মান্নান শিল্পী জানান, দেশের এ ক্রান্তিকালে সংগঠনের কোনও নেতাকর্মীর এমন ন্যাক্কারজনক কাজ মেনে নেওয়া যায় না। তিনি এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বলেন, তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিতে বিষয়টি জেলা আওয়ামী লীগকে জানানো হবে।