৮ হাজার টাকার চুক্তিতে বাসে আগুন দেন তারা: পুলিশ

ঢাকা: রাজধানীর মুগদা হাসপাতালের সামনে যাত্রীবেশে মিডলাইট পরিবহন নামে একটি বাসে আগুন দেওয়ার পরপরই পালিয়ে যাওয়া মিজানুর রহমানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

এর আগে আগুন দেওয়ার সময় হাতেনাতে ধরা পড়েন আলামিন নামে আরো এক যুবক।

রিমান্ডে বাসে আগুন লাগানোর কথা স্বীকার করে এ দুই যুবক জানিয়েছেন, জনপ্রতি ৮ হাজার টাকার চুক্তিতে তারা বাসে আগুন দিয়েছিলেন।

রোববার (৫ নভেম্ববর) রাতে মুগদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মজিদ এ তথ্য জানান।

আলামিন ৭ দিনের রিমান্ডে ও মিজানুর রহমান ৩দিনের রিমান্ডে থানায় আছেন।

এ বিষয়ে ওসি আব্দুল মজিদ বলেন, বাসে আগুন দেওয়ার পর পালিয়ে যাওয়ার সময় হাতেনাতে গ্রেপ্তার করা হয় আলামিনকে।

পালিয়ে যেতে সক্ষম হওয়া মিজানুর রহমানকে শনিবার গ্রেপ্তার করা হয় গাজীপুর থেকে। রোববার মিজানুরের ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

এর আগে ৭ দিনের রিমান্ডে আছেন আলামিন।
ওসি বলেন, রিমান্ডে থাকা আলামিন প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশকে জানান, পল্টন এলাকায় বিএনপি নেতা লোকমান হোসেন ফকিরের নির্দেশক্রমে তারা যাত্রীবাহী বাসে আগুন দেয়। চুক্তি অনুযায়ী বাসে আগুন দেওয়ার পরে তাকে আট হাজার টাকা দেওয়ার কথা। এছাড়া যেই পেট্রোল ঢেলে বাসে আগুন দেওয়া হয় সেই পেট্রোল ওই বিএনপি নেতা সংগ্রহ করে দেয়।

তিনি আরও বলেন, আলামিন সায়দাবাদ এলাকার ভাসমান অবস্থায় থাকেন। এদিকে মিজানুর রহমান স্বীকার করেছে বাসে আগুন দেওয়ার পরে চুক্তি অনুযায়ী তাকে আট হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। মিজান ফকিরাপুল এলাকায় থাকেন। তিনি বিএনপি সমর্থন।

রিমান্ডে থাকা আলামিন পুলিশকে আরো জানান, বাসে আগুন দেওয়ার সময় মিজানসহ আরো বেশ কয়েকজন ছিল।

এই ঘটনায় যাত্রীবাহী বাস মিডলাইট পরিবহন পক্ষ থেকে দুলাল হোসেন নামে এক ব্যক্তি থানায় একটি মামলা করে। মামলায় আলামিন ও মিজানুর রহমানসহ ৫জন আসামি করা হয়।

অপর তিনজন হল বিএনপি নেতা লোকমান হোসেন, রাজন ও বাবু।

পল্টন থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাউদ্দিন মিয়া জানান, পল্টন থানা বিএনপির সভাপতি লোকমান হোসেন ফকিরকে খুঁজছে পুলিশ।

প্রসঙ্গত, গত ১ নভেম্বর বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর মুগদা হাসপাতালের সামনে যাত্রীবেশে মিডলাইট পরিবহনের একটি বাসে আগুন দেওয়া হয়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নেভালেও বাসটি পুরোপুরি পুড়ে যায়। তবে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুর্বৃত্তরা বাসের যাত্রীবেশে ছিলেন। বাসটি এসে হঠাৎ সড়কের ওপর ব্রেক করলে বাস থেকে কয়েকজন যাত্রী বের হয়ে বাসটি ভাঙচুর শুরু করেন। এর মধ্যে ভেতরে আগুন ধরিয়ে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *