ফরিদপুর: ফরিদপুরের কলেজছাত্র আসাদুজ্জামান নূর ওরফে তুরাগ (২২) হত্যা মামলায় তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রোববার (১৯ নভেম্বর) দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মো. শাহজাহান।
ফরিদপুর পুলিশ সুপার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয় এ সম্মেলন।
গ্রেপ্তাররা হলেন- ফরিদপুরের কোতোয়ালি থানাধীন অম্বিকাপুর এলাকায় নুরুল ইসলামের ছেলে রাজন ওরফে কালা রাজন (২৬), রাজনের আরেক ভাই মো. সাজন (২৪) ও ফরিদপুর জেলা সদরের পশ্চিম ভাষানচর এলাকার আব্দুল ছালাম শেখের ছেলে জুয়েল শেখ (৩৮)।
সম্মেলনে এসপি মো. শাহজাহান বলেন, রোববার ভোরের দিকে গাজীপুর জেলার কোনাবাড়ী এলাকা থেকে রাজন ও সাজন নামে দুই ভাইকে ও গত শনিবার (১৮ নভেম্বর) রাতে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ থানা এলাকা থেকে জুয়েল শেখকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছ থেকে জব্দ করা হয় কলেজছাত্র তুরাগকে হত্যায় ব্যবহৃত দুটি রামদা।
তিনি আরও বলেন, গ্রেপ্তাররা তুরাগ হত্যার সঙ্গে সরাসরি জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। তারা জানান- মাদক বেচাকেনাকে কেন্দ্র করে ও আগের বিরোধের জের ধরে তুরাগকে নৃশংসভাবে হত্যা করে তার বাম হাত কেটে নিয়ে উল্লাস করেছিলেন তারা।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোহাম্মদ ইমদাদ হুসাইন (সদ্য পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত), অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) শৈলেন চাকমা (সদ্য পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত), অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. সালাউদ্দিন, কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ জলিলসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
গত ১১ অক্টোবর সন্ধ্যায় ফরিদপুর সদরের অম্বিকাপুর ইউনিয়নের ধুলদি গোবিন্দপুর গ্রামের জামাল মোল্লার মেহগনি ও কলা বাগানের মধ্যে নির্মমভাবে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয় আসাদুজ্জামান নুর তুরাগকে। ওই সময় তুরাগের বাম হাত কেটে নিয়ে উল্লাস করতে করতে পালিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা। পরে ওই ঘটনায় তুরাগের বাবা মো. আলাউদ্দিন হাওলাদার বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
নিহত তুরাগ জেলা শহরের মধ্য আলীপুর এলাকার মো. আলাউদ্দিন হাওলাদারের ছোট ছেলে। তিনি ফরিদপুর সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।