আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের কেন্দ্রস্থলে শিখ ধর্মাবলম্বীদের একটি মন্দিরে হামলায় অন্তত ২৫ জন নিহত ও অপর আট জন আহত হয়েছে। আত্মঘাতী ও সশস্ত্র বন্দুকধারীদের হামলার প্রায় ছয় ঘণ্টা পর ঘটনাস্থলের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার কথা জানিয়েছে আফগান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। উদ্ধার হয়েছে নারী ও শিশুসহ প্রায় ৮০ জন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস) হামলার দায় স্বীকার করলেও কোনও ধরনের সম্পৃক্ততার অভিযোগ অস্বীকার করেছে দেশটির প্রধান বিদ্রোহী গোষ্ঠী তালেবান।
সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানদের হয়রানি ও বৈষম্যের কারণে আফগানিস্তানে শিখ ধর্মাবলম্বীদের সংখ্যা কমে আসছে। বর্তমানে দেশটিতে দশ হাজারেরও কম শিখ ধর্মাবলম্বীর বাস। ২০১৮ সালের জুলাইতে পূর্বাঞ্চলীয় জালালাবাদ শহরে শিখ ও হিন্দু ধর্মালম্বীদের এক জমায়েতে আইএস’র হামলায় ১৯ জন নিহত ও অপর ২০ জন আহত হয়। ওই ঘটনায় নিহতদের মধ্যে ছিলেন দেশটির অন্যতম শিখ রাজনীতিবিদ আওতার সিং খালসা।
বিবিসি জানিয়েছে, বুধবার সকালে কাবুলের শোরবাজার এলাকায় শিখ মন্দিরে আত্মঘাতী ও বন্দুকধারীরা ঢুকে পড়ে। ওই সময়ে সেখানে প্রায় দেড়শো মানুষের জমায়েত ছিলো। আফগান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে দুই হামলাকারী নিহত হয়েছে।
আফগান সংবাদমাধ্যম টোলো নিউজ জানিয়েছে, ঘটনাস্থল থেকে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়েছে নিরাপত্তা বাহিনী। হামলা মোকাবিলায় বিদেশি সেনারাও সহায়তা দিয়েছে বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমটি।
উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তানের জন্য পূর্বনির্ধারিত এক বিলিয়ন ডলারের সহায়তা বাতিলের ঘোষণা দেওয়ার এক দিনের মাথায় কাবুলে হামলার ঘটনা ঘটলো। আফগানিস্তানের রাজনৈতিক অচলাবস্থা নিরসনে ব্যর্থ হয়ে ওই ঘোষণা দেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও।