ইকুয়েডরে করোনা প্রকোপের এলাকার বিভিন্ন বাড়ি থেকে ৭৭১ মৃতদেহ উদ্ধার

সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ইকুয়েডরের সর্বোচ্চ করোনা প্রকোপের এলাকা গুয়াইয়াকুইলের বিভিন্ন বাড়ি থেকে ৭৭১টি মৃতদেহ উদ্ধার করেছে সেদেশের পুলিশ। হাসপাতালের মর্গগুলো ভরে যাওয়ায় সেখান থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে আরও ৬৩১টি মরদেহ। সরকারিভাবে মৃতদেহগুলো সমাহিতকরণের কাজ চলছে। ইকুয়েডর সরকার কর্তৃক গঠিত করোনা টাস্কফোর্সের প্রধানকে উদ্ধৃত করে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এসব তথ্য জানিয়েছে।

গত ২৯ ফেব্রুয়ারি ইকুয়েডরে সর্বপ্রথম করোনা আক্রান্ত শনাক্ত হয়। এরইমধ্যে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে সাড়ে ৭ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। ইকুয়েডর সরকারের হিসাব অনুযায়ী, উপকূলীয় প্রদেশ গুয়াইয়াসে আক্রান্তের সংখ্যা দেশের মোট আক্রান্তের ৭০ ভাগেরও বেশি। আর প্রদেশটির রাজধানী গুয়াইয়াকুইলে আক্রান্ত হয়েছে ৪ হাজার মানুষ। মৃতদেহগুলো সমাহিত করতে হিমশিম খেয়ে যাচ্ছেন সৎকারকারী কর্মীরা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্থানীয় বাসিন্দাদের পোস্ট করা ছবিতে দেখা গেছে রাস্তায় রাস্তায় মৃতদেহ পড়ে আছে। স্বজনদের মরদেহ সৎকারে আর্থিক সক্ষমতা না থাকাসহ বিভিন্ন বিষয় বিবেচনা করে মৃতদেহ সৎকারের দায়িত্ব নিয়েছে সরকার।

করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় পুলিশ ও সেনা সদস্যদের সমন্বয়ে একটি টাস্কফোর্স গঠন করেছে ইকুয়েডর সরকার। এর নেতৃত্ব দিচ্ছেন জর্জ ওয়াটেড। তিনি বলেন, ‘আমরা মানুষের বাড়ি থেকে যে মৃতদেহ উদ্ধার করেছি তার সংখ্যা ৭০০ এর বেশি। এরপর রবিবার (১২ এপ্রিল) টুইটারে তিনি জানান, যৌথ টাস্কফোর্স গত তিন সপ্তাহে অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন বাড়ি থেকে ৭৭১টি মরদেহ এবং বিভিন্ন হাসপাতালের মর্গ থেকে আরও ৬৩১টি মরদেহ সরিয়ে নিয়েছে। এ মর্গগুলোতে মৃতদেহ রাখার মতো আর জায়গা ছিল না।’

এসব মানুষের মৃত্যুর কারণ কী তা সুনির্দিষ্ট করে বলেননি ওয়াটেড। উদ্ধার হওয়া মরদেহগুলোর ৬০০টিকে সমাহিত করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *